ভারতের দু’জন স্কুলছাত্রী পৃথিবীর চারদিকে ঘুরে এমন একটি গ্রহানু আবিস্কার করেছে
ভারতের দু’জন স্কুলছাত্রী এমন একটি গ্রহানু (asteroid) আবিস্কার করেছে যেটি নিজের অক্ষের উপর খুবই কম গতিতে আবর্তিত হচ্ছে আবার পৃথিবীর চারদিকেও আবর্তিত হচ্ছে। খবর সিএন এন।
রাধিকা লাখানী এবং ভাইদেহি ভিকারিয়া নামে ১০ গ্রেডে পুড়ুয়া দু’জন ছাত্রী স্কুল প্রকল্পে কাজ করার সময় তারা গ্রহানুটি আবিস্কার করে এবং তারা গ্রহানুটির নাম দিয়েছে ”HLV2514”।
ভারতের গুজরাট রাজ্যের অন্তর্গত সুরাতে দুজনের বাড়ী। হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ে স্পেস ইন্ডিয়া এবং নাসা’র একটি প্রকল্পে টেলিস্কোপে ধারণকৃত ছবিসমূহ (images) বিশ্লেষণ করতে তাদেরকে দেওয়া হয়।
হাবল টেলিস্কোপে শনি গ্রহের গ্রীষ্মকালীন সময়ের ধারণকৃত অত্যাশ্চর্যজনক স্বচ্ছ ছবি তারা বিশ্লেষণ করছিল।
স্পেস ইন্ডিয়ার সিনিয়র শিক্ষাবিদ ও জ্যোতির্বিজ্ঞানী আকাশ দ্বিবেদী সিএনএনকে বলেছেন যে ভারতের শিক্ষার্থীদের নাসার প্যান স্টার টেলিস্কোপের সংগ্রহ করা চিত্র সফটওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে কিভাবে বিশ্লেষণ করে আকাশের
বিভিন্ন বস্তুকে চিহ্নিত করতে হয় তা শেখানো হয়। তারপরে শিক্ষার্থী দু’জন ছবিতে চলন্ত বস্তুর সন্ধান করে।
দ্বিবেদী ব্যাখ্যা করে বলেন, প্রকল্পটি বিজ্ঞান এবং জ্যোতির্বিদ্যায় শিক্ষার্থীদের জড়িত করা এবং শিক্ষিত করার লক্ষ্যে ছিল।
১৫ বছর বয়সী ভেকরিয়া তার আবিস্কারের অংশীদার রাধিকা লাখানীকে সাথে নিয়ে সিএনএনকে বলেন “আমরা প্রকল্পটি জুনে শুরু করেছিলাম এবং আমরা কয়েক সপ্তাহ আগে নাসায় আমাদের বিশ্লেষণ পাঠিয়েছিলাম।
২৩ শে জুলাই তারা আমাদেরকে একটি ইমেল প্রেরণ করে যাতে আমরা নিশ্চিত হই যে আমরা পৃথিবীর কাছাকাছি কোন বস্তুকে চিহ্নিত করেছি ।
দ্বিবেদী ব্যাখ্যা করেছেন যে, গ্রহাণুটি বর্তমানে মঙ্গল গ্রহের কক্ষপথের নিকটে রয়েছে – তবে ১ মিলিয়ন বছরে এটি তার কক্ষপথ পরিবর্তন করবে এবং পৃথিবীর কাছাকাছি চলে আসবে, যদিও এটি পৃথিবী এবং চাঁদের মধ্যে বিদ্যমান দূরত্বের ১০ গুণ বেশি দূরত্বে থাকবে।
দ্বিবেদী বলেছেন “গ্রহাণুটিকে নাসা খুব গুরুত্বের সাথে নিয়েছে। যেহেতু এই গ্রহাণুটি তার কক্ষপথ পরিবর্তন করছে এটি সংবাদ হয়ে দাঁড়িয়েছে,”
গ্রহানুগুলো ক্ষুদ্র গ্রহ হিসাবে পরিচিত। পাথরের তৈরী গ্রহানুগুলো সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে।
ভিকেরিয়া বলেন, মহামারীজনিত কারণে শিক্ষার্থীরা এ আবিষ্কারটি উদযাপন করতে পারেনি, তবে তিনি আরও বলেন “এটি একটি স্বপ্ন ছিল। আমি একজন নভোচারী হতে চাই।”
তিনি বলেন ” মহাকাশ এত বিস্তৃত যে, এটি অনুসন্ধানের কোন সীমা নেই, বিশেষত ব্ল্যাকহোল তত্ত্বের।”