অন্যান্য উদ্ভিদের থেকে পাট গাছ থেকে বেশি পরিমানে অক্সিজেন পাওয়া যায় বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সাচিব লোকমান হোসেন মিয়া। তিনি বলেন, এক বিঘা জমির পাট ২৭ মেট্রিকটন অক্সিজেন সরবরাহ করে। তাছাড়া পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায়ও পাট গাছের ভূমিকা অনন্য।
জাতীয় পাট দিবস উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) এক সংবাদ সম্মেলনে পাটের নানাবিধ ব্যবহার ও উপকারিতা নিয়ে এসব কথা বলেন পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী ও সচিব।
তিনি বলেন, মাত্র তিন মাসের মধ্যেই পাট উৎপাদন করা সম্ভব। পাট পাতার ছাল-বাকল থেকে শুরু করে পাট পাতার শাক, কাঁচা পাট সবকিছুই ব্যবহার করা যায়।এছাড়া জৈব ভেষজ হিসেবে পাট পাতার পানীয় পরীক্ষিত।ইতিমধ্যে এটি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। আমরা এ নিয়ে জার্মানির সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছি।আর আমরা যখন জার্মানি থেকে সনদ পেয়ে যাবো তখনেএ নিয়ে ব্যাপকভাবে মার্কেটিং করবো।যদিও এরইমধ্যে আমাদের ৫০ লাখ টাকার পাট পাতা কিনা হয়েছে।
পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, গত পাট উৎপাদন মৌসুমে দেশে ৭৪.৪৬ লাখ বেল কাঁচাপাট উৎপাদিত হয়েছে। চলতি অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি সময়ে পাট ও পাটজাত পণ্য থেকে ৬১৬.২০ মিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আয় হয়েছে। গতবছর এই আয় ছিল ৪৮২ কোটি মিলিন ডলার। অর্থাৎ এইবছরের রপ্তানি আয় গত অর্থবছরের তুলনায় ২০.৮২ শতাংশ বেশি।
সম্মেলনে সচিব আরও বলেন, পলিথিনের বিকল্প পাটের সোনালি ব্যাগ আগামী দুই মাসের মধ্যে এক লাখ পিস সরবরাহ করা হবে। যদিও বাজারের চাহিদা ১০-২০ লাখ পিস। এটা নিয়েও আমরা কাজ করছি।যদি প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হয় তবে পাটচাষের উন্নত কলাকৌশল সম্পর্কে চাষিরা প্রশিক্ষিত হবেন।