গত কয়েক বছর ধরেই বর্ষা মৌসুম রাজধানীবাসীর জন্য বয়ে আনে আতঙ্ক। বর্ষা হলেই রাজধানীতে জমে কোমর সমান পানি। আর এই পানি নিষ্কাশন হতে সময় লাগে কয়েক ঘন্টা। ধারণা করা হচ্ছে এবার বর্ষার মৌসুমেও এমন অবস্থা হবে। প্রতিবছর বর্ষার পানি নিষ্কাশনের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় কিন্তু লাভ হয় কি ? বিভিন্ন স্থানে পানি জমে থকার কারণে সৃষ্টি হয় বিভিন্ন সমস্যার। সকল ময়লা আবর্জনার পচা পানি জমা হয় রাস্তায় ফলে বাসা থেকে বের হওয়াটা হয়ে পড়ে বেশ কঠিন।
সিটি কর্পোরেশন এর উদ্যোগে গ্রহণ করা হয় বিভিন্ন পদক্ষেপ কিন্তু যদি ময়লা আবর্জনা আর পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার সুব্যবস্থা না থাকায় এই পানি জমে থাকে। ঢাকার প্রায় সকল খালই এখন দখল দূষণে ভরা। সব খালগুলো যেন পরিণত হয়েছে ময়লার বাগাড়ে। এই ময়লার বাগাড়ের জন্য দায়ি করা হবে কাদের ? বিভিন্ন সময় দায় এড়াতে দায়ি করা বিভিন্ন শ্রেণিকে।
পানি নিষ্কাশনের জন্য ব্যবহারিত খালগুলো এখন ব্যবহার হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা নিষ্কাশনের কাজে। খালের পাড় ঘেসে বসবাসরত মানুষরা নির্বিচারে আবর্জনা ফেলছে খালে। খালে এমন সব অপচশীল বর্জ্য ফেলা হচ্ছে যা একসময় পরিণত হচ্ছে বিশাল বাগাড়ে। শহরের পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার জন্য সরকার উদ্যোগ নিচ্ছে কিন্তু এখানে সাধারণ মানুষের দায়িত্ব কতটুকু পালন হচ্ছে। শহর আমাদের শহরে বসবাস করছি আমরা আর দায়িত্ব পালনের আমরা নিজেদের দায়িত্ব কতটুকু পালন করছি ? কিছু হলেই সরকারের উপরে দোষ চাপাতে আমরা সাধারণ মানুষ বেশ পটু।
ঢাকার জলবদ্ধতা নিরসনের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারই এখন বলছেন এবছরও প্রকট জলবদ্ধতার সৃষ্টি হতে পারে। এদিকে গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের জলবদ্ধতা নিরসনের জন্য সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত হয় সভা। জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য প্রয়োজনীয় কর্মপন্থা নিধারণের জন্য এ সভা অনুষ্ঠিত হয় সচিবালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগে। এসময় আসন্ন মৌসুমে জলাবদ্ধতা নিরসনে দুই সিটির ওয়াসার কর্মকর্তারা বিভিন্ন তাদের প্রস্তুতি তুলে ধরনে।
সভায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার এতো বছর পরও জলবদ্ধতার দায় এড়াদে পারি না। তিনি বলেন, জনগণ অজুহাত শুনতে চাই না। ঢাকার খালগুলো ভরে আছে অবর্জনায় একই সাথে দখলেও।
তিনি ঢাকার সকল খালগুলো দখলমুক্ত করণ ও স্থায়ীভাবে জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য দুটি মেগা প্রকল্প গ্রহণ করার নির্দেশ দেন।
এই বিভাগের সকল নিউজ দেখতে এখানে ক্লিক করুন