নদীটির নাম তুলসীগঙ্গা। এটি দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের দিনাজপুর জয়পুরহাট, বগুড়া ও নওগাঁ জেলার একটি নদী। যার দৈর্ঘ্য ১০০ মিটার আর প্রস্থ ৭০, আকৃতে নদটি সর্পিলাকার। একশো মিটারের এই নদী এখন পরিণত হয়েছে সরু খালে। কচুরিপানা, ময়লা-আবর্জনা আর দখল দূষণ নদীটিকে খালে পরিণত করতে বাধ্য করেছে। নদী দখল করে ঘরবাড়ি, কলকারখানা স্থাপন কোন নতুন বিষয় নয়। যেখানে রাজধানী ঢাকার খালগুলো দখল দূষণে ভরে আছে সেখানে তুলসীগঙ্গা আর বাদ থাকবে কেন।
৮৭ সালে যখন নওগাঁর সদর উপজেলার ছিটকিতলা স্লুইসগেট নির্মাণ করার পাশাপাশ এলাকায় তুলশীগঙ্গা থেকে একটি খাল খনন করে মিলিয়ে দেওয়া হয় ছোট যমুনার সাথে ঠিক সে সময় থেকেই নাব্যতা হারায় তুলসী।
বর্ষা মৌসুমে ২ থেকে ৩ মাস নদীটির প্রবাহ মোটামুটি ঠিক থাকলেও শুষ্ক মৌসুমে প্রায় পানি শূন্য হয়ে পড়ে নদীটি।কোথাও কোথাও পরিণত হয় খেলার মাঠে। নদীটি মূলত টিকে আছে দখলদারিত্বের মধ্যে দিয়ে। নদীর কোল ঘেসে গড়ে উঠেছে চালকল আর সেই চালকলের ছাই ফেলা হচ্ছে নদীতে একই সাথে পৌরসভার পয়ঃবর্জ্য আর কচুরিপানায় ভরে গেছে নদীটি ফলে সৃষ্টি হয়েছে বগাড়ে।
এমন অবস্থা চলমান থাকলে হয়তো অস্তিত্ব হারাবে এই খাল হয়ে যাওয়া তুলসীগঙ্গা নদী। স্থানীয়দের ময়লা-আবর্জনা আর উদাসহীনতার কারণে হারিয়ে যেতে বসেছে একসময়কার এই খরস্রত নদী।
যদিও সব মিলে এখন আশার আলো দেখাচ্ছে নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুধাংশু কুমার সরকার। তিনি বলছেন, তুলশীগঙ্গা সেতু থেকে এই নদীর উজান অংশে নদী পুনরায় খনন করার জন্য খুব দ্রুতই একটি প্রকল্প নেওয়া হবে পাশাপাশি তা বাস্তবায়ন করে অস্তিত্ব হারানোর হাত থেকে রক্ষা করা হবে।