বায়ু দূষণকারীদের বিরুদ্ধে আগামী রোববার (২২ ডিসেম্বর) থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান শুরু করবে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)।গতকাল বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর,২০১৯) সচিবালয়ে ধুলাবালিমুক্ত পরিচ্ছন্ন ঢাকা মহানগরী গড়া-সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় মেয়র আতিকুল ইসলাম এ কথা জানান। তিনি বলেন, আগামী রোববার (২২ ডিসেম্বর) থেকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বায়ু দূষণকারী ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া শুরু হবে।
জানা যায়, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সচিব রবীন্দ্র শ্রী বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ অভিযানের কথা বলা হয়েছে।আদেশে বলা হয়েছে, ইদানীং লক্ষ্য করা যাচ্ছে, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন বিভিন্ন এলাকার সড়ক ও ফুটপাতে কতিপয় অসাধু ব্যক্তি অননুমোদিতভাবে স্থাপনা নির্মাণ করে কিংবা নির্মাণসামগ্রী রেখে জনসাধারণের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করছেন। উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের অজুহাতে কোনো কোনো সড়ক, ফুটপাত দীর্ঘদিন যাবত যত্রতত্র খনন করে ফেলে রাখার কারণে জনসাধারণকে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে ব্যবহৃত মাটি, বালি যত্রতত্র অনাবৃত অবস্থায় ফেলে রাখা এবং উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নে পরিবেশসম্মত পদক্ষেপ গ্রহণ না করার কারণে ব্যাপক বায়ুদূষণ সৃষ্টি হচ্ছে, যার কারণে নগরবাসীকে নানারকম স্বাস্থ্যগত সমস্যা মোকাবিলা করতে হচ্ছে। যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলা ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় অসঙ্গতির কারণে পরিবেশ দূষণসহ মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই অবস্থায় এসব অবস্থা সরেজমিনে পরিদর্শন, প্রতিকারের উপায় চিহ্নিতকরণ, জনসচেতনতা সৃষ্টি এবং আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের লক্ষ্যে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন বিভিন্ন সড়ক, গলি ও এলাকা পরিদর্শন করবেন।
আতিকুল ইসলাম বলেন, এটা একটা চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার।দীর্ঘমেয়াদি এবং স্বল্পমেয়াদি দু্ই ভাবেই আমরা বায়ুদূষণ রোধ করতে পারি।তবে এই মুহূর্তে যখন আমরা দেখছি আমাদের রোগী মরে যাচ্ছে, কোরামিন ইনজেকশন দিতে হবে তখন আমি মনে করি, এটাকে শর্ট টার্ম হিসেবে চিন্তা করতে পারি। এই শর্ট টার্মের জন্য আমরা সিটি কর্পোরেশনের যে ঠিকাদাররা কাজ করছে তাদের প্রথমে জরিমানা করা হবে। কারণ, নিজের ঘরে থেকে যদি জরিমানা শুরু না করি মানুষ কিন্তু উল্টো বদনাম করবে। সিটি কর্পোরেশনের ঠিকাদারদের বলেছি, আগামী ২২ ডিসেম্বর থেকে আমি ঘোষণা ছাড়াই বিভিন্ন জায়গায় যাব।এক্ষেত্রে যে কনস্ট্রাকশন কোম্পানি কমপ্লায়েন্স মেইনটেইন না করে সিটি কর্পোরেশনে কাজ করবে, হয় তার ব্যবসা বন্ধ করতে হবে, না হয় জরিমানা দিতে হবে। যেকোনো একটিতে আসতে হবে। ফাইনের মাধ্যমে আমরা নোটিশ দেব। তারপরও যদি কাজ না করে অবশ্যই সিটি কর্পোরেশনের কন্ট্রাক্টর যারা আছেন তাদের ব্ল্যাকলিস্ট করা ছাড়া দ্বিতীয় কোনো পন্থা থাকবে না আমাদের।