পরিবেশ রক্ষায় করতে হবে ইনডোর প্ল্যান্ট
ইট-পাথরের এই নাগরিক জীবনে আমরা এক টুকরো সবুজের ছোঁয়া পেতে চাই। এ কারণে অনেকেই ব্যালকনিতে কিংবা ঘরের ড্রয়িং রুমের কোণায় টবে বিভিন্ন গাছের চারা লাগান। বর্তমান সময়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ইনডোর প্ল্যান্ট।
শোবার ঘর, ড্রইংরুম, ব্যালকনি কিম্বা অফিস ঘরে শোভা বাড়াচ্ছে এডেনিয়াম, সেন্সেভেরিয়া, অর্কিড, ক্যাকটাস জাতীয় উদ্ভিদ। বিদেশ থেকে আনা এসব উদ্ভিদ বিক্রি হচ্ছে অভিজাত শপিং মলে। উদ্যোক্তারা বলছেন, এ খাতে দেশে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার বাজার সৃষ্টি হয়েছে। তবে পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এসব উদ্ভিদ দেশেও চাষ সম্ভব।
রসালো পাতা ও কাণ্ডযুক্ত গাছগুলোকে সাকিউলেন্ট নামে ডাকা হয়। ঘরের বাতাস শুদ্ধ রেখে শরীর ও মনকে প্রশান্তি দেয় এই উদ্ভিদ। ফুটপাতের নার্সারির পাশাপাশি নানা জাতের স্যাকুলেন্ট প্রজাতির উদ্ভিদ এখন শোভা পাচ্ছে অভিজাত শপিং মলেও।
আকারে ছোট ও উজ্জল সবুজ, বাহারি ডিজাইনের পাতা নিয়ে নিজেকে মেলে ধরে এসব উদ্ভিদ। পাতাবাহার ও ক্যাকটাস ধরনের স্যাকুলেন্ট খুব জনপ্রিয়। এছাড়াও লাকি ব্যাম্বো, এডেনিয়াম, সেনসেভেরিয়া, ফার্ন, অর্কিডের মোহনীয় আবেদন যে কাউকেই আকর্ষণ করে।
পরিবেশ নিয়ে বেশ সচেতন নগরবাসী। ঘরের সৌন্দর্য্য রুচিবোধে যুক্ত হচ্ছে সবুজ। তাই দিনদিন জনপ্রিয় হচ্ছে এসব উদ্ভিদ।
ইনডোর প্ল্যান্ট উদ্যোক্তা রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘সহজে ঘরে বেঁচে থাকে এসব ইনডোর প্ল্যান্ট। খুব বেশি আলো বাতাসের প্রয়োজন হয় না। আবার শহরের আবদ্ধ ঘরে বাতাস শুদ্ধ রাখে সেনসেভেরিয়া, ফার্ন জাতীয় গাছ। যা স্বাস্থের জন্য খুব উপকারি।’
করোনার সময় সৌখিন নার্সারির আগ্রহ বেড়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এখাতে সারা দেশে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার বাজার সৃষ্টি হয়েছে। ইনডোর প্ল্যান্টের জনপ্রিয়তা বাড়ায় তরুণ প্রজন্মের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি স্বাস্থ্য ও নগর পরিবেশে ঠিক রাখতে বড় ভূমিকা রাখছে বলে মনে করেন গবেষকরা।