কক্সবাজারের ঘোড়ার মৃত্যু নিয়ে পরিবেশ সংগঠনগুলোর আইনি নোটিশ
সাধারণত কক্সবাজারে ঘুরতে যাওয়া পর্যটকরা ঘোড়ার পিঠে চড়ে সমুদ্র সৈকতে কিছুটা আনন্দের জন্য ঘোরাঘুরি করেন বা ছবি তোলেন।
কক্সবাজারের রাস্তায় অবহেলিত ভাবে পড়ে আছে ঘোড়া। মৃত্যুও হয়েছে বেশ বড় কয়েকটি ঘোড়ার। এমন খবর পেয়ে পরিবেশ ও প্রাণিসম্পদ নিয়ে কাজ করে এমন ৩টি সংগঠন মিলে একটি আইনি নোটিশ দিয়েছে।
সংগঠন ৩টি হলো- বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি যা বেলা নামে পরিচিত ও ইয়ুথ এনভায়রনমেন্ট সোসাইটি এবং পিপল ফর অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন।
ইয়ুথ এনভায়রনমেন্ট সোসাইটি বা ইয়েসের প্রধান নির্বাহী ইব্রাহিম খলিল মামুন বলেন, আমরা আইনি নোটিশ দিয়েছি এবং এখন ৫দিনের মধ্যে একটা উত্তর চাই। আমাদের আইনি নোটিশে মূলত বিপন্ন অবস্থায় থাকা ঘোড়াগুলোর একটা সুব্যবস্থা করে দেয়ার আর্জি আছে এবং এখন পর্যন্ত যেসব ঘোড়া মারা গেছে তার ব্যাপারে সুষ্ঠ একটা জবাব চাইছি।
মি. মামুন অভিযোগ করে বলেছেন, মালিকরা ঘোড়াগুলোর দেখভাল করতে ব্যর্থ হয়েছেন। ঘোড়া মালিক সমিতির সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, ঘোড়া দেখাশোনা করা এতো সহজ কাজ না।
তিনি আরো বলেন,কক্সবাজারের স্থানীয় ঘোড়া মালিক সমিতির হিসেব অনুযায়ী গত বছর লকডাউনে ২০টি ঘোড়া মারা যায়।এবারে মারা গেছে দশটি ঘোড়া।
সাধারণত, কক্সবাজারে ঘুরতে যাওয়া পর্যটকরা ঘোড়ার পিঠে চড়ে সমুদ্র সৈকতে কিছুটা ঘোরাঘুরি করেন এবং ছবি তোলেন। কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারির কারণে এই পর্যটন খাতে যে আঘাত এনেছে তার প্রভাব পড়েছে অনেকটা এই ঘোড়ার ব্যবসার উপরেও। শেষমেশ ব্যবসার চাহিদা না মেটাতে পেরে অনেক ঘোড়া মারা পড়েছে।
ফরিদা ইয়াসমিনের ভাষ্যমতে, তারা সাহায্যের জন্য নানা দ্বারে গিয়েছেন। কিন্তু যথাযথ সাহায্য পাননি।একটি বেসরকারি মোটর কোম্পানি অবশ্য ৫৫টি ঘোড়ার দায়িত্ব নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
কিন্তু ঘোড়ার মারা যাওয়ার সুনির্দিষ্ট কোন কারণ এখনো জানা যায়নি।ঘোড়ার মালিকরা বলছেন, না খেতে পেয়েই মারা পড়ছে ঘোড়াগুলো।অনেকে নিজেদের অবস্থানের পক্ষে যুক্তি খাড়া করে বলেছেন, আমরাই খেতে পাই না।
কক্সবাজার প্রশাসন একটি তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করবে বলে আশ্বাস দিয়েছে আইনি নোটিশ দেয়া সংগঠনগুলোকে।এই তদন্ত কমিটি ঘোড়ার মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখবে।