রাসায়নিক ছাড়াও প্রতিদিন সাড়ে ৩ হাজার টন প্লাস্টিক-পলিথিন ফেলা হচ্ছে নদীতে। আর এসবের বড় অংশই নৌযান থেকে ফেলা, নয়তো আসছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের চারশ ডাম্পিং স্টেশন থেকে। এতে নষ্ট হচ্ছে বাস্তুতন্ত্র। বিলুপ্তির পথে মাছসহ জলজ ও উদ্ভিজ্জ প্রাণীকূল। খাদ্যচক্রের মাধ্যমে মানবদেহেও এই দূষণ দীর্ঘমেয়াদে প্রভাব ফেলছে।
সদরঘাট থেকে দিনে একশর বেশি নৌযানে ঢাকা থেকে দক্ষিণবঙ্গসহ সারা দেশে যাতায়াত করেন এক লাখের বেশি যাত্রী। যাত্রপথে চিপস-বিস্কুটের প্যাকেট থেকে শুরু করে পানির বোতল ও ওয়ানটাইম নানা সামগ্রী ফেলা হচ্ছে নদীতে।
এসব সংরক্ষণে কিছু নৌযানে আলাদা বিন থাকলেও তা ব্যবহার হয় না। প্লাস্টিক সামগ্রী নদীতে ফেলা বন্ধে সভা করা হলেও নৌযান মালিকেরা তা মানছেন না।
নিত্যপণ্যের এসব বর্জ্যের পাশাপাশি নদী বিপন্ন করছে প্লাস্টিক কারখানাগুলোর দুষণও। ঢাকার চারপাশের নদীতে এখন মাছ নয়, প্লাস্টিকের ক্ষুদ্র দানা।
প্রতিদিন হাজারে রকমের পলিথিন-প্লাস্টিকের যৌগ মিশছে পানিতে। এ দূষণের প্রভাব সরাসরি পড়ছে নদীর প্রাণ-প্রকৃতিতে।
বুড়িগঙ্গা, বালু, তুরাগসহ ঢাকার নদীগুলোর তীরে রয়েছে দুই সিটি করপোরেশনের চারশ ডাম্পিং স্টেশন। আর এখান থেকে দিনে সাড়ে ৩ হাজার মেট্রিক টন প্লাস্টিক ও পলিথিন ফেলা হচ্ছে নদীতে।