কৃষি মন্ত্রী বলেন যে, হাওর অঞ্চলে ধান কাটা শেষ পর্যায়ে
গত ২৯/৪/২০২০ তারিখে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এবং পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সুনামগুঞ্জ জেলার হাওর অঞ্চল এর ধান কাটা মাঠ পর্যায়ের অবস্থা ও অসুবিধা সরেজমিনে পরির্দশণ করেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী বলেন “শ্রমিকের অভাব হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা প্রশাসনের সহায়তায় দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে শ্রমিকদের বিশেষ ব্যবস্থার আওতায় এনেছি।”
তিনি আরও বলেন, “দেশের ধান উৎপাদনের মূল অঞ্চল হাওরে, যা কিনা নিচু জলাভূমি সেখানে এখন পর্যন্ত ৭৫ শতাংশ ধান কাটা শেষ হয়েছে।” এসময় তিনি দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার সাংহাই হাওরের ধান কাটা পরিদর্শন করছিলেন।
তিনি বলেন যে, “সুনামগঞ্জের হাওর অঞ্চলটি অত্যন্ত গভীর এবং সুরক্ষিত নয়। তবে সৌভাগ্যক্রমে জেলার ৭৫ শতাংশ ধান কাটা শেষ হয়েছে।” মন্ত্রী বলেন যে, “এই বছরে হাওর অঞ্চলে ফসলের বাম্পার ফলন হওয়ার ফলে কৃষকরা বেশ খুশি হয়েছে।”
করোনাভাইরাসে সবকিছু বন্ধের কারণে হাওর অঞ্চলে শ্রমিকদের সংকট সম্পর্কে তিনি বলেন যে, “যেহেতু এখানে শ্রমিকদের সংকট রয়েছে, সেজন্য আমরা প্রশাসনের সহায়তায় বিভিন্ন জেলা থেকে শ্রমিকদের বিশেষ ব্যবস্থার আওতায় এখানে এনেছি। এর বাহিরে ৪০০ এরও বেশি কম্বাইন হারভেস্টার মেশিনকে জমিতে দ্রুত গতিতে ধান কাটার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে।”
বর্তমানে হাওর অঞ্চলে প্রায় ৩.২৫ লক্ষ মানুষ কাজ করছে। মন্ত্রী আরও যোগ করেন যে, “সবাই সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ফসল কাটছে।”
এরপর মন্ত্রী সদর উপজেলার অন্তর্গত গৌরারং ইউনিয়নের লালপুরে বোরো ধান আহরণ অভিযান উদ্বোধন করেন।
তিনি বলেন যে, ”প্রধানমন্ত্রী হাওর অঞ্চলগুলোকে জোর দেয়ার ফলেই স্বল্প সময়ের মধ্যে ধান কাটা সম্ভব হয়েছে। ভাল ফলন পেয়ে কৃষকরা খুব খুশি এবং তারা ভালো দামও পাচ্ছেন।”
তিনি আরও যোগ করেন যে, “ এক সময় বাংলাদেশ খাদ্য ঘাটতির দেশ ছিল, দুর্ভিক্ষের দেশ হিসেবে ব্যবহৃত হত। প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে এখানে ফসল ধ্বংস হয়। কিন্তু আজ বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। তাই এ বছর হাওর অঞ্চলগুলোতে বোরো ধানের চাষ করতে পেরেছে।”
মন্ত্রীর পরিদর্শণকালীন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ছাড়াও সুনামগঞ্জ-৫ এর সংসদ সদস্য মহিবুর রহমান মানিক, সুনামগঞ্জ-১ এর সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, সুনামগঞ্জ-৪ এর জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট পীর ফজলুর রহমান, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান উপস্থিত ছিলেন এবং বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ও কৃষি বিভাগের স্থানীয় উদ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিল।