২১% গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমনের জন্য দায়ী করা হয় ভবন ও নির্মাণ খাতকে
সারা বিশ্বে ২১ শতাংশ গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমনের জন্য দায়ী করা হয় ভবন ও নির্মাণ খাতকে। বিশেষ করে গ্লোবাল সাউথের নারায়ণের পরিমাণ দ্রুত বৃদ্ধির কারণে জলবায়ুর উপর ভবনগুলোর প্রভাব আগামী কয়েক দশকে আরও বাড়বে বলে মনে করেন পরিবেশ ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা।
তারপরও ভবন ও নির্মাণ খাত ২০৫০ সালের মধ্যে ডিকার্বনাইজেশন অর্জনের কোন পথ নকশা তৈরি করা হয়নি। ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।
জানা গেছে, ভবন ও নির্মাণ খাত বিল্ডিং সেক্টরের ডিকার্বনাইজেশন ও স্থিতিস্থাপকতা অর্জনের লক্ষ্যে বিল্ডিং এবং জলবায়ু সম্পর্কিত গ্লোবাল ফোরাম বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মূল সংস্থাগুলোর মন্ত্রী এবং উচ্চস্তরের প্রতিনিধিদের একত্রিত করার লক্ষ্যে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে ৭ ও ৮ মার্চ একটি সম্মেলনের আয়োজন করে। এ ধরনের সম্মেলন বিশ্বে এটিই প্রথম।
ফ্রান্স সরকারের আমন্ত্রণে আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা গ্রুপের সদস্য হিসেবে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী র.আ.ম. ওবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী সম্মেলনে প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
তাকে কারিগরি সহায়তা প্রদান করছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, প্যারিসে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস ও ঢাকার ডিটেইল এরিয়া প্ল্যানের (ড্যাপ) প্রকল্প পরিচালক ও রাজউকের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মো. আশরাফুল ইসলাম।
তিনি দেশ রূপান্তরকে জানান, বিল্ডিং ব্রেকথ্রুয়ের উদ্যোগে বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রায় ২৮টি সরকার, ইউরোপীয় কমিশন, জাতিসংঘের বিভিন্ন অঙ্গ সংস্থা, পরিবেশ কর্মী, ভবন নির্মাণের সঙ্গে জড়িত উদ্যোক্তা ও বিভিন্ন এনজিও কর্মীসহ প্রায় ৪০০ জন প্রতিনিধি অংশ গ্রহণ করেন।
তাদের সমর্থনে বিল্ডিং সেক্টরের বৈশ্বিক ডি-কার্বনাইজেশনে এবং জলবায়ু পরিবর্তনে স্থিতিস্থাপকতা আনয়নের জন্য সম্মেলনে একটি কাঠামো অনুমোদন করা হবে।