সেন্টমার্টিন পরিচ্ছন্নতা অভিযান অনুষ্ঠিত
তানিয়া সুলতানা হ্যাপি
গত ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ তারিখে বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ ও জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য সেন্টমার্টিন দ্বীপ পরিচ্ছন্নতা কামর্যক্রম পরিচালনা করেছে স্বেচ্চাসেবি সংগঠন ভলানটিয়ার বাংলাদেশ। এই সংগঠনের একদল স্বেচ্চাসেবি দ্বীপের সৈকতে প্লাস্টিক বর্জ্য অপসারনের কাজ করে।
অভিযানে ০৯টি বড়ো আকৃতির বস্তায় প্রায় ৭শ কেজির বেশী কেজি প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ করে তারা সৈকত থেকে অপসারণ করেন। মূলত পর্যটক ও স্থানীয় লোকদের ব্যবহৃত ও ফেলে দেয়া প্লাস্টিক বোতল এবং অন্যান্য প্লাস্টিক সামগ্রী থেকে এই বর্জ্য সৃষ্টি হয়।
সংগঠনটি বিগত ২০১৭ সাল থেকে প্রতি বছর এই কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। বাংলাদেশ প্রেস ইন্সিটিটিউট অব জার্নালিজম এলামনাই অ্যাশোসিয়েশন এর ২ জন সদস্য এতে অংশ নিয়েছেন,
তারা হলেন জাহাঙ্গীর আলম শোভন ও বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক অনলাইন পোর্টাল গ্রীন পেইজ এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক তানিয়া সুলতানা হ্যাপি।
ভলানটিয়ার বাংলাদেশ এর মেন্টর জাহাঙ্গীর আলম শোভনের নেতৃত্বে এবারো ৩০ জন স্বেচ্চাসেবক এর একটি দল দু,দিন ব্যাপী এই কার্যক্রম পরিচালনা করছে। কর্মসূচীর দ্বিতীয় পর্ব ছিল শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর।
এই বিষয়ে জাহাঙ্গীর আলম শোভন বলেন, ”আসলে আমি বিগত ২০১৬ সালে পায়ে হেঁটে তেঁতুলিয়া থেকে টেকনাফ ভ্রমণের সময় বর্জ্যের প্রাচুর্য দেখে অবাক হই এবং পরের বছর থেকে এই কার্যক্রম শুরু করি।
বর্তমানে স্খানীয় ও দেশের অন্যান্য স্থান হতে আগত এনজিওসহ বেশ কয়েকটি সংস্থা এখানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। আমি মনে করি এটা একটা মাইলফলক।”
ভলানটিয়ার বাংলাদেশ এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান সমন্বয়ক মোহাম্মদ আশরাফ আলী বলেন, ”আমরা আমাদের কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে সকলকে সচেতন করতে চাই।
আমরা যেন আমাদের আশপাশ পরিষ্কার করি এবং অপরিচ্ছন্নতা থেকে বিরত থাকি। পাশাপাশি সামাজিক কাজের অংশ হিসেবে এই পরিচ্ছন্নতা কাজে অংশ নিয়ে একটি সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ গঠন করি।”
সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাসিন্দা ২ নং ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য হাবিব খান বলেন, ”শোভন ভাইয়ের নেতৃত্বে এই দলটি ৭ বছর ধরে এই কর্মসূচী পালন করে আসছে। তারা পুরো দ্বীপ পরিষ্কার করতে না পারলেও এর মাধ্যমে একটি বার্তা সবার কাছে ছড়িয়ে দিচ্ছে।
পর্যটকদের ব্যবহুত প্লাস্টিক বর্জ্য এতটাই বেড়ে গেছে যে এভাবে বাড়তে থাকলে দ্বীপের পরিবেশ বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়বে। তাই এই কার্যক্রম চলমান রাখা উচিৎ। পাশাপাশি এই কার্যক্রম আরো বৃহৎভাবে না করলে ময়লা পুরোপুরি অপসারণ সম্ভব হবে না “
ভলানটিয়ার বাংলাদেশ এর সাথে অন্যান্য কয়েকটি সংগঠন এর স্বেচ্চাসেবকরাও এতে যোগ দিয়েছে এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বাংলাদেশ ট্রাভেল রাইটার্স এসোসিয়েশন ও কম্বাইন্ড সোস্যাল নেটওয়ার্ক।
এই কর্মসূচীর সাথে একটি ফ্রি ব্লাড গ্রুপিং ক্যাম্প করার কথা থাকলেও বৈরি আবহাওয়ার কারণে তা বাতিল করা হয়েছে। তবে বিগত বছরগুলোতে এই পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের সাথে একটি ব্লাড গ্রুপিং ক্যাম্প সেন্টমার্টিন দ্বীপে ও আরেকটি ক্যাম্প শাহপরীর দ্বীপে পরিচালনা করে আসছে সংগঠনটি।”