সুপেয় পানির সমস্যা সমাধানে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের তাগিদ
উপকূলের মানুষের খাওয়ার জন্য যে পরিমাণ সুপেয় পানি প্রয়োজন তা নেই। এ সমস্যা সমাধানের বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। খাওয়ার পানির চাহিদা মেটাতে বৃহৎ আকারে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন।
এলাকাভিত্তিক বড় বড় পুকুর, খাল, জলাশয় খনন করে তাতে বৃষ্টির পানি ধরে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। খুলনায় ‘উপকূলীয় অঞ্চলে সুপেয় পানির সংকট: বর্তমান করণীয়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
নগরের একটি মিলনায়তনে মঙ্গলবার বিকেলে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘জন উদ্যোগ’ ওই আলোচনা সভার আয়োজন করে। বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে ভূগর্ভস্থ পানির অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখে নিরাপদ পানির নিশ্চয়তা এখন চলমান লড়াই। খাওয়ার পানির অভাবে দিন কাটাচ্ছে উপকূলের কোটি মানুষ।
মিঠাপানির অভাবে গৃহপালিত পশু লালন-পালনও ছেড়ে দিচ্ছেন উপকূলের অনেক মানুষ। পানির সংকট নিরসনে সরকারি উদ্যোগে বৃষ্টির পানি ধরে রাখার বড় ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। বিশেষ করে খাসজমিতে মিঠাপানির আধার তৈরি করা দরকার। খালগুলো ইজারামুক্ত করা দরকার।
পবিত্র রমজানে খুলনা নগরে যেন পানির সংকট না হয়, সেদিকে খুলনা ওয়াসাকে বিশেষ খেয়াল রাখতে তাগিদ দেন আলোচকেরা। তাঁরা বলেন, ওয়াসা দুর্নীতিমুক্ত করার পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। নগরবাসীকে সুপেয় পানি দেওয়ার অঙ্গীকার নিয়ে গঠিত হয়েছিল ওয়াসা। তা বাস্তবায়ন করতে হবে।
জন উদ্যোগ খুলনার সদস্যসচিব মহেন্দ্রনাথ সেনের সভাপতিত্বে আলোচনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ‘বৃহত্তর আমরা খুলনাবাসী’–এর সাধারণ সম্পাদক এস এম মাহাবুবুর রহমান, খুলনা উন্নয়ন ফোরামের কো–চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক হোসেন, ভাসানী অনুসারী পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হালিম, খুলনা বিভাগীয় মোটর মেকানিক সমিতির সভাপতি শেখ আইনুল হক, জন উদ্যোগ খুলনার সদস্য ইয়াসীন আরাফাত, সাংবাদিক মোরশেদ নেওয়াজ, জন উদ্যোগ যুব সেলের আহ্বায়ক রিপন কুমার বিশ্বাস প্রমুখ।