রাজধানী ঢাকার যমুনা ফিউচার পার্কে দেশের সবচেয়ে বড়ো ক্যাট র্যাম্প শো অনুষ্ঠিত হয়
আজ ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ তারিখ শুক্রবার রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কে বেলা ১১টা থেকে দিনব্যাপী বিড়ালের এ মিলনমেলা ও দুইপর্বে অনুষ্ঠিত হয়।প্রায় ৫০০০ বিড়াল মালিক তাদের বিভিন্ন জাতের ও বিভিন্ন রংয়ের বিড়াল সাজিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে।
বনরক্ষা, মানুষ ও পশুদের মধ্যে সহানুভূতিপূর্ণ সম্পর্ক গড়া এবং জগতের সকল প্রাণীদের প্রতি সদয় আচরণ করা ও কোন প্রাণীর প্রতিই রূঢ় আচরণ না করার জন্য সকল মানুষকে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে উদোক্তাগণ এটির আয়োজন করেছে।
ক্যাট র্যাম্প শো ২০২৩ অনুষ্ঠানের প্রধান উদ্যোক্তা ছিলেন বিশিষ্ট রসায়নবিদ ও পোষ্যপ্রেমী মো.আলমগীর। তাঁরই সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত শোতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ক্যাম্পাস পত্রিকার সম্পাদক ড. এম হেলাল,
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তরুণ প্রজন্মের জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী মেহরীন, চিকিৎসক ও অভিনেত্রী নায়লা নাঈম, বিশিষ্ট ক্রীড়া বিদ কায়সার হামিদ, ঢাকা ইউনিভার্সিটি এলামনাই নিউজের সম্পাদক- আলী নিয়ামত, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী পরিবেশবিদ মোঃ মাহফুজুর রহমান,
বিশেষ বক্তা ও শুভেচ্ছা দূত হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ ট্যুরিস্ট সাইক্লিস্টের সভাপতি মোঃ আমিনুল ইসলাম টুববুস, আমরা ধানমন্ডিবাসীর প্রধান সমন্বয়কারী দিদার হোসেন পাটোয়ারী, তরুণ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব- নাঈম হোসেন নয়ন, প্রাণী উদ্ধারকারী আফজাল খান (রবিনহুড) ,উপস্থাপনায় ছিলেন সৌম্য সুপ্রিয়া ও সাবিকুন্নাহার।
প্রধান অতিথি, বিষেশ অতিথিগণ তাঁদের বক্তব্যে এ ধরণের একটি সময়োযোগী ব্রতিক্রমধর্মী একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করায় উহার আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত “স্মার্ট বাংলাদেশ”
গড়ার লক্ষ্যে প্রাণীদের উপকারিতা সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টিসহ সকল প্রাণের প্রতি ভালোবাসা বৃদ্ধি, প্রাণীদের প্রতি সহিংসতা ও নির্যাতন রোধে সকলকে কাজ করার অনুরোধ জানান।
কোন কোন বক্তা পবিত্র কোরআন ও হাদিস হতে উদ্ধৃতি দিয়ে বিড়াল পোষা যে ইসলামের চোখে ক্ষতিকর নয় বরং বিড়ালের প্রতি যত্ন নেওয়ার কথা যে কোরআন ও হাদিসে উল্লেখ আছে সেটা জানান।
মোট ৮টি ইভেন্টে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।ইভেন্টগুলো হলো খাদক বিড়াল প্রতিযোগিতা, ক্যাটওর্য়াক, যেমন খুশী তেমন সাজো, মালিকের ডাকে বিড়ালের সাড়া দেওয়া। প্রতিযোগীতায় ১ম হতে ৩য় স্থান অর্জণকারী বিড়ালের মালিকগণকে অনুষ্ঠান শেষে পুরস্কৃত করা হয়।
অনুষ্ঠানের শেষে প্রাণী উদ্ধারকারী আফজাল খান (রবিনহুড) এর পক্ষ হতে একটি ভিডিও উপস্থাপণার মাধ্যমে বর্তমান সময়ে কিছু মানুষের পশুদের প্রতি নির্যাতন ও সহিংস আচরণের কিছু চিত্র ফুটে উঠেছে এবং রনিহুডের পক্ষ হতে সে সকল সহিংস ও নির্যাতিত প্রাণীদের উদ্ধার করে সেবা ও সুশ্রষা করা এবং শহরের বিভিন্ন প্রান্তে বিপদে পড়া প্রাণীদের নিরাপদে উদ্ধার অভিযান দেখান হয়।
ভিডিও উপস্থাপনার পর রবীনহুড তার বক্তব্যে জগতের সকল প্রাণীদের প্রতি সদয় হওয়ার এবং বিপদে পড়া প্রাণীদের উদ্ধার করতঃ সেবা ও শুশ্রূষায় অংশগ্রহণে জন্য যুব সমাজকে অংশগ্রহণে উদাত্ত আহ্বান জানান।