28 C
ঢাকা, বাংলাদেশ
সকাল ৭:১৯ | ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ বঙ্গাব্দ
গ্রীন পেইজ
রাজধানীতে বায়ু দূষণের অন্যতম কারণ হচ্ছে জীবাশ্ম জ্বালানি: মেয়র তাপস
পরিবেশ দূষণ

রাজধানীতে বায়ু দূষণের অন্যতম কারণ হচ্ছে জীবাশ্ম জ্বালানি: মেয়র তাপস

রাজধানীতে বায়ু দূষণের অন্যতম কারণ হচ্ছে জীবাশ্ম জ্বালানি: মেয়র তাপস

রাজধানীতে বায়ু দূষণের ৮০ ভাগ কারণ জীবাশ্ম জ্বালানি বলে মনে করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।

মেয়র বলেন, ‘আমরা যে (জ্বালানি) তেল ব্যবহার করি সেটা অপরিশোধিত। এতে লেড, ম্যাগনেসিয়াম, সালফারের মতো অনেক বিপজ্জনক পদার্থ পাওয়া যায়। এই কারণেই ঢাকা ছোট শহর হওয়ার পরও বায়ু দূষণ সর্বোচ্চ পর্যায়ে। মানসম্মত নয়, এমন জীবাশ্ম জ্বালানি বেশি ব্যবহারে ঢাকা আজ সবচেয়ে দূষিত বায়ুর শহর।’



বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে বিশ্ববিদ্যালয়টির ইনস্টিটিউট অব এনার্জি ‘সাসটেইনেবল এনার্জি উইক-২০২৩’ উপলক্ষে একটি সেমিনার আয়োজন করে। ‘সাসটেইনেবল এনার্জি পলিসি অ্যান্ড আওয়ার লাইভলিহুড’ শীর্ষক ওই সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ ফজলে নূর তাপস এ কথা বলেন।

ডিএনসিসি মেয়র শেখ তাপস বলেন, ‘মানব সভ্যতার অভ্যুদয়ের জন্য, উত্থানের জন্যই জ্বালানি ব্যবহৃত হয়। আবার এই সভ্যতাকে ধ্বংস করার জন্য জ্বালানি একটি নিয়ামক হিসেবে কাজ করছে। ভেনেজুয়েলা, নাইজেরিয়া জীবাশ্ম জ্বালানিতে ভরপুর।

কিন্তু বর্তমানে ভেনেজুয়েলা, নাইজেরিয়া অনেকটাই দেউলিয়া রাষ্ট্র। আবার সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের রাষ্ট্রগুলো এই জ্বালানির ওপরে দাঁড়িয়ে আজ উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত সারা বিশ্বে জ্বালানির দাম বহু গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। জ্বালানির জন্যই মানবসভ্যতা আজকের এই পর্যায়ে এসেছে। আবার এই জ্বালানির জন্যই সারা বিশ্বে যুদ্ধ-বিগ্রহ অবস্থা বিরাজ করছে।’



বায়ু দূষণের জন্য নিম্নমানের জ্বালানি ব্যবহার সবচেয়ে বেশি দায়ী উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ঢাকায় ধুলার জ্বালা সহ্য করা যায় না। কিন্তু লেড, ম্যাগনেসিয়ামসহ বিভিন্ন ধরনের যে বিষাক্ত পদার্থ আমরা প্রতিনিয়ত নিচ্ছি, সেটা কেউ খেয়াল করছেন না।

বাংলাদেশে যে জ্বালানি তেল আসে সেটা নিম্নমানের। যে ডিজেল আমরা ব্যবহার করি, তা কতটা বিপজ্জনক—প্রতিদিন বায়ু দূষণের মাত্রায় সর্বোচ্চ স্থানে থাকার পরও আমাদের সে উপলব্ধি হচ্ছে না। উপলব্ধিতে আসছে শুধু ধুলাবালি।’

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘জ্বালানি আমার সম্পদ, আমারই থাকবে। পাকিস্তান আমলে আমাদের বড় বড় গ্যাস ক্ষেত্রগুলো বহুজাতিক কোম্পানিকে দিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালে তিতাসসহ ৫টি বড় বড় গ্যাস ক্ষেত্র বহুজাতিক কোম্পানির কাছ থেকে কিনে নিয়েছিলেন। সেই সময় আমাদের অর্থ ছিল না। কিন্তু জাতির পিতা ভবিষ্যৎ জ্বালানি নিরাপত্তা উপলব্ধি করে সেগুলো কিনে নিয়েছিলেন। যে কারণে আজ অবধি আমরা গ্যাস ব্যবহার করতে পারছি।’

মেয়র শেখ তাপস বলেন, ‘জ্বালানির মূল কাজ বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করা। সৌর, পানি, বায়ু, পারমাণবিক, কয়লা—যে ধরনের জ্বালানি হোক না কেন, এগুলোর সবই বৃহদার্থে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহার করা হয়। সেই বিদ্যুৎ ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা সভ্যতাকে এগিয়ে নিয়ে যাই দেশকে উন্নত করি।’



ইনস্টিটিউট অব এনার্জির পরিচালক এম এস নাসিফ শামসের সভাপতিত্বে সেমিনারে অন্যদের মধ্যে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান ওয়াসিকা আয়েশা খান, ক্লাইমেট পার্লামেন্ট বাংলাদেশের কার্যকরী সদস্য ও সংসদ সদস্য আদেলুর রহমান, বেসরকারি টেলিভিশন ডিবিসি নিউজের প্রধান সম্পাদক মঞ্জরুল ইসলাম, বিইপিআরসির সদস্য রতন কুমার ঘোষ প্রমুখ বক্তব্য দেন।

সেমিনারে বক্তারা ২০০৮ সালে প্রণীত টেকসই জ্বালানি নীতির আলোকে আগামীর জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মাধ্যমে টেকসই জ্বালানি ব্যবস্থাপনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

উল্লেখ্য, ঢাকার প্রায় ১৫০টি স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে প্রথমবারের মতো দেশে টেকসই জ্বালানি সপ্তাহ পালিত হয়েছে।

“Green Page” কে সহযোগিতার আহ্বান

সম্পর্কিত পোস্ট

Green Page | Only One Environment News Portal in Bangladesh
Bangladeshi News, International News, Environmental News, Bangla News, Latest News, Special News, Sports News, All Bangladesh Local News and Every Situation of the world are available in this Bangla News Website.

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই স্কিপ করতে পারেন। গ্রহন বিস্তারিত