মাস্ক-গ্লাভস বর্জ্য থেকে খাদ্যচক্রে প্রবেশের সাথে মাটি পানিতেও মিশে যাবে জীবাণু
করোনাভাইরাস ঝুঁকি থেকে নিজেদের এড়াতে প্রায় সকল মানুষ আজ ব্যবহার করছে মাস্ক-গ্লাভস আর পিপিই। কিন্তু ব্যবহারের পরে সেই সকল ব্যবহার্য মাস্ক-গ্লাভস আর পিপিই যাচ্ছে কোথায় ?
এরই মধ্যে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে উঠে এসেছে ব্যবহার করা মাক্স আবারো ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত হয়েছে বিভিন্ন স্থানে। কিন্তু বাস্তব সত্য হচ্ছে ব্যবহারের শেষে অনেকেই ব্যবহৃত মাস্ক-গ্লাভস আর পিপিই সেখানে সেখানে ফেলে দিচ্ছে। যার ফলে সংক্রমণের ঝুঁকিতে পড়ছেন পথচারী ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মীরা।
অন্যদিকে করোনার সাথে সম্পৃক্ত সকল বর্জ্য মাটি ও পানিতে মিশে জীবাণু খাদ্যচক্রে প্রবেশ করার শঙ্কা জানিয়েছেন একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান।
বিভিন্ন গাছে গাছে দেখা যাচ্ছে মাক্স। দেখে মনে হচ্ছে করোনাভাইরাস থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্যই গাছ মাক্স পড়ে দাঁড়িয়ে আছে । কিন্তু আসল সত্য হচ্ছে মানুষ তাদের ব্যবহার করার মাক্স গাছে ঝুলিয়ে দিয়েছে। ফলে মানুষের ফেলা দেয়া করোনা জীবানু বইতে হচ্ছে গাছকে।
রাজধানীসহ দেশের সকল স্থানে এমন কোনো রাস্তা পাওয়া যাবে না যেখানে মাস্ক কিংবা গ্লাভসের দেখা মিলবে না। একইসাথে ফেলে রাখা হয়েছে পিপিইও। চিকিৎসকেরা সতর্ক করেছেন করোনা এড়াতে এসব সামগ্রীর মাধ্যমে পথচারীরাও করোনায় আক্রান্ত হতে পারে।
মেডিসিন ও সংক্রমণ রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. আরিফুল বাশার জানান, অনেক সময় মাস্ক ও গ্লাভস রাস্তার মধ্যে পড়ে থাকতে দেখো যায়। প্রকৃতপক্ষে এসব সামগ্রী স্বাস্থ্যের জন্য মোট্রে নিরাপদ নয়। কারণ ভাইরাসটি খালি স্থানেও ২ থকে ৩ দিন বেঁচে থাকতে পারে।
গেলো এক মাসে পরিবেশবাদী বেসরকারি সংস্থা এসডো উৎপাদিত প্লাস্টিক বর্জ্য নিয়ে গবেষণা করেছে । এতে ২৬ মার্চ থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশে প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপাদন হয়েছে সাড়ে ১৪ হাজার টন। আর এর মধ্যে হ্যান্ড গ্লাভসই ছিল ৫ হাজার ৮৭৭ টন। এসবের গুরুত্ব না দিলে জীবাণু মাটি ও পানির মাধ্যমে খাদ্যচক্রে প্রবেশ করতে পারে । আর তাই অন্য সকল বর্জে্যর সাথে না মিশিয়ে করোনা সম্পৃক্ত বর্জ্যগুলো আলাদা ভাবে সংগ্রহ করার পরামর্শ দিয়েছে গবেষকরা।
এদিকে এনভায়রমেন্ট অ্যান্ড সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট অগানাইজেশন এসডো মহাসচিব ড. শাহরিয়ার হোসেন জানান, জাম সম্মৃদ্ধ এসকল জিনিসগুলো যদি পরিবেশে যায় তাহলে মাটি পানিতেও জীবাণু মিশে যাবে।
এনভায়রমেন্ট অ্যান্ড সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট অগানাইজেশন এসডো মহাসচিব ড. শাহরিয়ার হোসেন বলেন, জাম সম্মৃদ্ধ এসব জিনিসগুলো যদি পরিবেশে যায় তাহলে মাটি পানিতেও জীবাণু মিশে যাবে।