গত ৫৭ বছরে শুকিয়ে গেছে ১৫৮ নদী। যার মধ্যে এমনই নরসুন্দা। নরসুন্দার বুক দিয়ে একসময় নৌ চলাচল সচল ছিলো। কিন্তু এখন সচল চাষিরা। বিভিন্ন কারণে শুকিয়ে গেছে নরসুন্দা। নদী ভরাট হওয়ায় এখন নরসুন্দার চিত্র ভিন্ন রূপ গ্রহণ করেছে। নরসুন্দা নদীতে এখন চাষ হচ্ছে বোরো ধানের। ফলনও বেশ ভালো। ফলে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। নরসুন্দা নদী বলতে এখন বলতে হবে শীর্ণ ধারা। নদীর বুক চিরে তির তিরি করে একটি শীর্ণ ধারা বয়ে চলেছে। যার দু-পাশে আবাদ হচ্ছে বোরো ধানের। দেখতে বেশ ভালোই লাগছে। পানির পরিবর্তে সেখানে এখন দেখা যাচ্ছে সবুজ গালিচা। সবুজ শ্যামলে ভরা এই দেশের নদীগুলো দিন দিন সবুজ হয়ে যাচ্ছে।
নরসুন্দার রূপ বর্ষার মৌসুমে কিছুটা বোঝা যায়। কারণ এ সময় নদীটি পানিতে ভরে ওঠে। আর সেসময় স্রোতও থাকে। ঠিক তখনই পলি জমে নরসুন্দায়। সেখানে চাষিরা আবাদ করে তাদের বোরো ধানের। মাটি বেশ উর্বর থাকায় ধান উৎপাদন খরচও কমে যায়। ফেলে লাভের মুখ দেখেন চাষিরা।
নরসুন্দা প্রবাহ নান্দাইল উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের ভেতর দিয়ে। এর পরে শহর হয়ে মিশেছে ভাটি অঞ্চলে গিয়ে। প্রকৃতপক্ষে নরসুন্দা নদীটি পুরাতন বহ্মপুত্র নদের একটি শাখা নদী।
তথ্যানুযায়ী একসময় এই নদীতে বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার করা হতো। দিন দিন বাঁধের সংখ্যা বাড়তে থাকে। ফলে ধীরে ধীরে ভরাট হতে থাকে নদীটি। নদী শুকিয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হিসেবে স্থানীয় বলেন, মূলত দখল ও দূষণের কারণে এই নদীর নাব্যতা হারিয়ে যেতে থাকে। এক সময় সীমিত হয়ে পড়ে নৌ চলাচল। তারা জানায় বর্ষার মৌসুমে নদীটি পানিতে ভরে ওঠে কিন্তু শুষ্ক মৌসুমে সৃষ্টি হয় এক শীর্ণ ধারার।