বাংলাদেশের পরিবেশ উন্নয়ন বিশ্ব দরবারে অনুপ্রেরণা স্বরূপ
বাংলাদেশের উন্নয়ন এবং প্রবৃদ্ধির গতিধারা বিশ্বের অনেক দেশের জন্য এখন অনুপ্রেরণা স্বরূপ। উন্নয়ন যাত্রায় বহুমুখী চ্যালেঞ্জ উল্লেখযোগ্যভাবে মোকাবিলা করেছে বাংলাদেশ। এ দেশের দারিদ্র্য কমেছে রেকর্ড হারে।
দুর্যোগের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে উদ্ভাবনী এবং নেতৃস্থানীয় ভূমিকা রেখেছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ সফরে এসে বিভিন্ন বৈঠকে এসব কথা বলেছেন বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) অ্যাক্সেল ফন ট্রটসেনবার্গ। সংস্থাটির ঢাকা কার্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। তিন দিনের সফর শেষে গতকালই ঢাকা ছাড়েন বিশ্বব্যাংকের এই কর্মকর্তা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশকে বিশ্বব্যাংকের তরফ থেকে কার্যকর সহায়তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। ফন ট্রটসেনবার্গ বলেন, ‘অতিমারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ বৈশ্বিক সংকটের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে সহায়তা করছে।’
আগামী ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার লক্ষ্য অর্জনে আমরা বাংলাদেশকে সহযোগিতা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এজন্য বেসরকারি খাতে আরও বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি, সামাজিক ও আর্থিক অন্তর্ভুক্তির জন্য এবং জলবায়ু ঝুঁকি কমাতে আমরা বাংলাদেশকে সহায়তা করব।
বিশ্বব্যাংকের ৫০ বছরের অংশীদারিত্ব উদযাপন উপলক্ষে গত বুধবার বাংলাদেশ সফরে আসেন বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন তিনি।
কয়েকজন মন্ত্রী, উচ্চ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা এবং পোশাক উৎপাদন ও রপ্তানিকারক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিজিএমইএ নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন তিনি।
এসব বৈঠকে বাংলাদেশের উন্নয়নে আগামীর অগ্রাধিকার নিয়ে কথা বলেন ট্রটসেনবার্গ। সফরের শেষ দিনে তিনি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করেন। দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার এমডির সফরসঙ্গী ছিলেন।
১৯৭২ সালে বিশ্বব্যাংকের সদস্য হয় বাংলাদেশ। যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের পরিবহন ও যোগাযোগ, কৃষি ও শিল্পের পুনর্গঠন এবং নির্মাণ ও বিদ্যুৎ খাতের জন্য ৫ কোটি ডলারের জরুরি ঋণ নিয়ে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশের পথচলা শুরু হয়।