35 C
ঢাকা, বাংলাদেশ
সন্ধ্যা ৬:২৮ | ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ বঙ্গাব্দ
গ্রীন পেইজ
পানি নয়, মঙ্গলে দেখা মিলছে অন্য কোনও তরল! দাবি বিজ্ঞানীদের
পরিবেশ বিজ্ঞান

পানি নয়, মঙ্গলে দেখা মিলছে অন্য কোনও তরল! দাবি বিজ্ঞানীদের

পানি নয়, মঙ্গলে দেখা মিলছে অন্য কোনও তরল! দাবি বিজ্ঞানীদের

পানিই জীবন, পানিই প্রাণ। পৃথিবীর বাইরে বাসযোগ্য গ্রহ খুঁজে বের করার পক্ষে এটিই একমাএ শর্ত। সৌরজগতের এতগুলি গ্রহের মধ্যে, তার বিন্দুমাত্র ইঙ্গিত কোথাও পাওয়া গেলেই আমাদের আর আনন্দের সীমা থাকে না। আর প্রতিবেশী গ্রহ মঙ্গলে (Mars) যদি সেই ছিঁটেফোঁটাও পাওয়া যায় তবে তো আর কোন কথাই নেই।

মঙ্গলকে ঘিরে প্রতিনিয়ত বাড়বেই উৎসাহ, অনুসন্ধান। আর সেই উৎসাহী, অনুসন্ধানি মনই আরও বেশি করে লালগ্রহে পানির উৎস খুঁজতে গিয়ে দেখছে, পানি নয়, এটাতো অন্য কোনও তরলের স্রোত। অন্তত Radar-এর সিগন্যাল তো তেমনই বলছে। পর্যবেক্ষন করে তাঁরা বলছেন, পানি তরল আকারে থাকার পক্ষে মঙ্গল অনেক বেশি শীতল।

মঙ্গলের দক্ষিণ মেরুতে ভূগর্ভে স্রোতপ্রবাহের ইঙ্গিত পেয়েছিলেন বিজ্ঞানীদের একাংশ। ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির (ESA) বিশেষ যন্ত্রের পর্যবেক্ষণে ধরা পড়েছিল, লালগ্রহের অভ্যন্তরে রয়েছে প্রচুর পানির (Water) স্রোত। মনে করা হচ্ছিল, তা কোনও হ্রদের অংশ কি না। সেই পানিতে প্রাণধারণ আদৌ সম্ভব কি না, তা নিয়ে শুরু হয়েছিল বিশাল গুঞ্জন, জল্পনা।



কিন্তু সম্প্রতি সেই পর্যবেক্ষণ কিংবা ইঙ্গিত বদলে যাচ্ছে অন্য আরেকদল বিজ্ঞানীর দাবিতে। এ নিয়ে তিন পাতার একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে বিখ্যাত জার্নালে। তারপর থেকেই ভিন্নতর জল্পনা উঠে এসেছে।

বলা হচ্ছে, যদিও বা পানির কোন উৎস থেকে থাকে, তাহলে তা মঙ্গলের মাটির অনেকটা গভীরে এবং তা মাটি চুঁষে আসা তরল। অত্যধিক শীতল তাপমাত্রায় এখানকার হ্রদ শুকিয়ে কাঠ হয়ে গিয়েছে।

লালগ্রহ নিয়ে যখন এমনই আশা-আকাঙ্খার দোলাচল, ঠিক সেই সময় নাসার (NASA)জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরিতে (JPL) বসে রাডারে ধরা পড়া সিগন্যাল পরীক্ষায় মগ্ন ছিলেন দুই বিজ্ঞানী – আদিত্য আর খুল্লার এবং জেফ্রি জে প্লট।

৪৪ হাজার প্রতিধ্বনি (Echo) চুলচেরা বিশ্লেষণ করে তাঁরা বুঝতে পেরেছেন, এগুলো সবই মঙ্গলপৃষ্ঠের ভিতর দিকের। আর সেই অংশ এতটাই শীতল যে তরল আকারে পানি থাকার পক্ষে বস্তুত অসম্ভব। মঙ্গলের অন্তভাগের তাপমাত্রা মাইনাস ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

অন্যদিকে, কার্ভার বিয়েরসন এবং আইজ্যাক স্মিথ নামে দুই বিজ্ঞানী পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দাবি করেন, মঙ্গলে শুধু মাটি আর কাদার উপস্থিতি রয়েছে। জলীয় অংশের উৎস সম্ভবত সেটাই। কিন্তু সেই তরল অংশ H20 নাকি অন্য কিছু? এই নিয়ে নতুন গবেষণা শুরু হয়ে গেল। ফের সন্দেহের মুখে পড়ল প্রতিবেশী গ্রহে প্রাণের অস্তিত্বের সম্ভাবনা।

“Green Page” কে সহযোগিতার আহ্বান

সম্পর্কিত পোস্ট

Green Page | Only One Environment News Portal in Bangladesh
Bangladeshi News, International News, Environmental News, Bangla News, Latest News, Special News, Sports News, All Bangladesh Local News and Every Situation of the world are available in this Bangla News Website.

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই স্কিপ করতে পারেন। গ্রহন বিস্তারিত