35 C
ঢাকা, বাংলাদেশ
সন্ধ্যা ৬:২৪ | ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ বঙ্গাব্দ
গ্রীন পেইজ
পরিবেশ রক্ষায় মেডিক্যাল বর্জ্য নিষ্কাশনে মানববন্ধন
পরিবেশ রক্ষা

পরিবেশ রক্ষায় মেডিক্যাল বর্জ্য নিষ্কাশনে মানববন্ধন

পরিবেশ রক্ষায় মেডিক্যাল বর্জ্য নিষ্কাশনে মানববন্ধন

মেডিক্যাল বর্জ্য নিষ্কাশনে ‘মেডিক্যাল বর্জ্য (ব্যবস্থাপনা ও প্রক্রিয়াকরণ) বিধিমালা-২০০৮’ সংশোধনসহ ছয়টি দাবিতে মানববন্ধন করেছে ১৪টি পরিবেশবাদী সংগঠন।

শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) উদ্যোগে ‘মেডিক্যাল বর্জ্যের কার্যকর ব্যবস্থাপনা চাই’ শীর্ষক মানববন্ধনে সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দ এ দাবি জানান।



মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা শহর পৌরসভায় মেডিক্যাল বর্জ্য একটি বড় সমস্যা যা পরিবেশ ও জনস্বাস্থের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

করোনাকালে এই সমস্যা আরও প্রকটভাবে দৃশ্যমান। ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালের বর্জ্য রাজধানীর চারপাশের নদীসহ হাসপাতালের সামনের খোলা নর্দমায় ফেলা হচ্ছে। রাজধানীর মেডিক্যাল বর্জ্যের ব্যবস্থাপনা থেকেই সারাদেশের অবস্থা সহজেই অনুমেয়।

উদাহরণ টেনে মানবন্ধন থেকে বলা হয়, ‘প্রিজম নামের একটি প্রতিষ্ঠান ঢাকায় ১২০০টি হাসপাতালের সাথে চুক্তিবদ্ধ। প্রতিষ্ঠানটি করোনার আগে প্রতিদিন ১৪ টন বর্জ্য সংগ্রহ করতো।

গড়ে প্রতিটি হাসপাতাল থেকে ১১ দশমিক ৭ কেজি। বর্তমানে তারা প্রতিদি ৭-৮ টন বর্জ্য সংগ্রহ করছে। হাসপাতালগুলো যে তাদের বর্জ্য যথাযথভাবে ব্যবস্থাপনা করছে না এটাই তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ।

বক্তারা আরও বলেন, ‘পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ এর আওতায় মেডিক্যল বর্জ্যা (ব্যবস্থাপনা ও প্রক্রিয়াকরণ) বিধিমালা ২০০৮ বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মানা হচ্ছে না। পরিবেশ অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের স্ব-স্ব ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালনে অবহেলা, গাফিলতি ও তদারকির অভাবের অন্যতম কারণ।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছার অভাবে উৎসে বর্জ্য পৃথকীকরণ হচ্ছে না। যদিও মেডিক্যাল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও ক্রিয়াজাতকরণ) বিধিমালা ২০০৮ অনুযায়ী পৃথকীকরণ বাধ্যতামূলক। এছাড়াও হাসপাতালে নিয়োজিত স্বাস্থ্য কর্মীদের চিকিৎসা বর্জ্যের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত জ্ঞানের অভাব রয়েছে।



এসময় তারা মেডিক্যাল বর্জ্য নিষ্কাশন সুষ্ঠুভাবে করার জন্য ছয়টি দাবি উল্লেখ উত্থাপন করেন।

তাদের দাবিগুলো হলো-
১. চিকিৎসা বর্জ্যকে অবশ্যই জনস্বাস্থ্যসহ পরিবেশ বিপর্যয়ের একটি বড় কারণ হিসাবে চিহ্নিত করা,
২. মেডিক্যাল বর্জ্য (ব্যবস্থাপনা ও প্রক্রিয়াজাতকরণ) বিধিমালা-২০০৮ কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা
৩. স্বাস্থ্যশিক্ষার সব শাখায় বিশেষ করে এমবিবিএস, নার্স এবং মিডওয়াইফ কারিকুলামে মেডিক্যাল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা
৪. চিকিৎসা বর্জ্যের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে হাসপাতালে নিয়োজিত স্বাস্থ্য কর্মীদের নিয়মিতভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া
৫. স্বাস্থ্য বাজেটে মেডিক্যাল বর্জ্যের নিরাপদ নিষ্কাশনের জন্য অর্থ বরাদ্দ রাখা রাখা।
৬. পরিবেশ অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, হাসাপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাসহ সংশ্লিষ্ট সম্পৃক্ত করে এবং
৭. জনস্বাস্থ্যসহ পরিবেশ বিপর্যয়কে গুরুত্ব দিয়ে মেডিক্যাল বর্জ্য (ব্যবস্থাপনা ও প্রক্রিয়াকরণ) বিধিমালা-২০০৮ সংশোধন করা।

মানববন্ধনে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুস সোবহানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন গ্রাম বাংলা উন্নয়ন কমিটির একেএম মাকসুদ, নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ ফোরামের সহ-সভাপতি অলিভা পারবীন, বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা যুব ফাউন্ডেশনের মুখপাত্র মো. ইমরান হোসাইন প্রমুখ।

“Green Page” কে সহযোগিতার আহ্বান

সম্পর্কিত পোস্ট

Green Page | Only One Environment News Portal in Bangladesh
Bangladeshi News, International News, Environmental News, Bangla News, Latest News, Special News, Sports News, All Bangladesh Local News and Every Situation of the world are available in this Bangla News Website.

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই স্কিপ করতে পারেন। গ্রহন বিস্তারিত