পরিবেশ রক্ষায় তিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে
বাংলাদেশের পরিবেশ রক্ষায় তিনটি বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে বলে মনে করে বেসরকারী গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)।
এগুলো হচ্ছে হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি সরানো, বুড়িগঙ্গা নদীকে দূষণমুক্ত করা ও ঢাকা শহরের জলাশয়, খাল দখল করে গড়ে ওঠা আবাসনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সঠিক রাজনৈতিক নেতৃত্ব, সঠিক নীতি প্রণয়ন ও সম্পদের সঠিক বাস্তবায়ন প্রয়োজন বলেও মনে করে সিপিডি।
রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে সিপিডি আয়োজিত ‘জলবায়ু সামঞ্জস্যপূর্ণ উন্নয়ন: বাস্তব অথবা অবাস্তব?’ শীর্ষক বার্ষিক বক্তৃতায় সংগঠনের চেয়ারম্যান অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক রেহমান সোবহান এ সব কথা বলেন।
সোবহান বলেন, হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি সরানো নিয়ে আরেকটি নাটক আমরা দেখছি। ট্যানারিগুলো তাদের বর্জ্য ফেলে পরিবেশ দূষিত করছে।
তাদের এখনও সরানো যাচ্ছে না। গত ৩০ বছর ধরে বুড়িগঙ্গা নদীকে দূষণমুক্ত করার কথা বলছি। কিন্তু দূষণ বন্ধ হয়নি। এখনও চলছে।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করা আরও অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। বিশ্বের ধনী রাষ্ট্রগুলো জলবায়ু তহবিলে অর্থ না দিলে বাংলাদেশ নিজস্ব অর্থায়নে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
রেহমান সোবহান বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেক সাহসের পরিচয় দিয়েছেন। বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন করা থেকে সরে এলেও শেখ হাসিনা বাংলাদেশের নিজস্ব বাজেট থেকে টাকা বরাদ্দ দিয়ে কাজ শুরু করেছেন। তিনি এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সমর্থ হয়েছেন।
অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ক্লাইমেট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট নলেজ নেটওয়ার্কের নির্বাহী প্রধান সাইমন ম্যাক্সুয়েল বলেন, প্যারিস সম্মেলনে যা অর্জন হয়েছে তা অবশ্যই একটি বড় অর্জন।
সাইমন বলেন, সফলতার জন্য সঠিক রাজনৈতিক নেতৃত্ব অবশ্যই লাগবে। কারণ অনেক সময় দেখা যায় অনেক ভালো বিষয়ও সঠিক রাজনৈতিক নেতৃত্ব না থাকার কারণে সফলতার মুখ দেখতে পারে না। একই সঙ্গে সম্পদের বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে বেসরকারী বিনিয়োগকারীদের সম্পৃক্ত করা যেতে পারে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের জন্য জলবায়ু সমস্যার বড় সমস্যা হলো পরিবেশ দূষণ। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের মতো দেশগুলো বাইরের অর্থ পাওয়ার ক্ষেত্রে চাপের মধ্যে পড়বে।
কারণ পরিবেশ দূষণের জন্য অর্থ চাইলে অর্থদাতারা বলতে পারে এটি তো জলবায়ুর সমস্যা না।