পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখে ভারত সহ দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশ
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, একবিংশ শতাব্দীর শেষ প্রান্তে পৌঁছে বর্ষার সময়সীমা অনেকটা বেড়ে যাবে। কিন্তু তাহলে খরার সৃষ্টি কী করে হবে? আসলে এর পিছনে রয়েছে সারা বিশ্ব জুড়ে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার খবরটি।
গড়ে ১.৫ ডিগ্রি থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বেড়ে গিয়েছে। এর ফলে জলের বাষ্পে পরিণত হওয়ার পরিমাণ বেড়ে যাবে। ফলে মাটির আর্দ্রতা অনেকটা কমে যাবে। আর তার ফলে তৈরি হবে খরার পরিবেশ। এদিকে বদলে যাবে বর্ষার গতিপ্রকৃতি।
দক্ষিণ এশিয়া, বিশেষত ভারতীয় উপমহাদেশে তাপপ্রবাহের মাত্রা আরও অনেক বাড়বে আগামি দিনে। কমবে শীতকালের আয়ু। সেই সঙ্গে লাফিয়ে বাড়বে সাইক্লোন ও খরার পরিমাণ।
‘সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ’-এর এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর আর কৃষ্ণণ জানাচ্ছেন, গত ৫০-৬০ বছর ধরেই বেড়েছে পৃথিবীর তাপমাত্রা। কিন্তু আগামী কয়েক দশকে গ্লোবাল ওয়ার্মিং আরও শক্তিশালী আকার ধারণ করবে।
ফলে বর্ষায় বৃষ্টির দিনের সংখ্যা কমবে। এদিকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ অনেক বাড়বে। অল্প সময়ে বেশি পরিমাণে বৃষ্টি হবে।
কিন্তু কেন বাড়ছে তাপমাত্রা? গ্লোবাল ওয়ার্মিং বাড়ার পিছনে যে মানুষের দায়িত্বজ্ঞানহীনতাই দায়ী, সেকথা আগেও শোনা গিয়েছে। রাষ্ট্রসংঘের গবেষকদের রিপোর্টেই সেই অভিযোগেরই পুনরাবৃত্তি।
যেভাবে গত কয়েক দশকে দ্রুতহারে নগরায়ন হয়েছে, এখন তারই ফল ভুগতে হচ্ছে বলে মত তাঁদের। তবে সব দেশ মিলে যদি গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন কমাতে সম্মত হয়, তাহলে তাপমাত্রা স্থিতিশীল হয়ে পরিস্থিতি কিছুটা শোধরাতে পারে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।