পরিবেশ দূষণমুক্ত রাখতে পরিবেশ অধিদপ্তরে স্মারকলিপি প্রদান
সাতক্ষীরা জেলায় পরিবেশ দূষণমুক্ত রাখতে পরিবেশ অধিদপ্তরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। জেলায় অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা ইটভাটা বন্ধ করাসহ নানা অনিয়মভাবে ইটভাটা চালানোর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরে স্মারক লিপি প্রদান করেছেন সাতক্ষীরা জেলা নদী বন ও পরিবেশ রক্ষা কমিটি।
চলতি মাসে ২৭ জানুয়ারি সাতক্ষীরা জেলা নদী বন ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির সভাপতি আদিত্য মল্লিক জেলার পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছেন।
সূত্রে জানা গেছে, পরিবেশ আইনের নীতিমালা না মেনে জেলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এলাকায়, অফিসপাড়া, কৃষি জমির উপর ও ঘনবসতি ঘরবাড়ি এলাকায় অপরিকল্পিতভাবে অনেকেই ইটভাটা স্থাপন করে ইটভাটা চালাচ্ছেন।
একইসাথে পরিবেশ আইন না মেনে ইটভাটায় মহোৎসবে বিভিন্ন প্রজাতির গাছের কাঠসহ তুষ কাঠ, টায়ার পোড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
জেলা নদী বন ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির সভাপতি আদিত্য মল্লিক জানান, পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃকপক্ষ তদারকির অভাবে ইটভাটার মালিকরা পরিবেশ আইন না মেনে জেলার বিভিন্ন এলাকায় অপরিকল্পিতভাবে ইটভাটা স্থাপনা গড়ে উঠেছে এবং ইটভাটায় মহাৎসবে তুষ কাঠ, টায়ার ও বিভিন্ন প্রজাতির গাছের কাঠ পোড়ানো হচ্ছে।
আর অপরিকল্পিতভাবে ইটভাটা স্থাপনা গড়ে ওঠার ফলে এবং কাঠ ও টায়ার পোড়ানোর কারণে এলাকায় পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। আর পরিবেশ দূষণে শ্বাসকষ্ট হাঁপানিজনিত রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ।
তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, জেলায় অনেক অপরিকল্পিত ইটভাটার মালিকরা হাইকোর্টে রিট করে ইটভাটা চালাচ্ছেন। তবে প্রশাসনের কাছে দাবি জানাই, হাইকোর্টে রিট করা ইটভাটাগুলো খারিজের মাধ্যমে বন্ধ করে দেওয়া হোক। তাহলে এলাকায় পরিবেশ দূষণমুক্ত হবে এবং নানা রোগব্যাধির হাত থেকে মানুষ রক্ষা পাবে।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, ইতোমধ্যে পত্রপত্রিকায় দেখেছি অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে প্রশাসন অভিযান চালিয়ে জরিমানাসহ ইটভাটা গুড়িয়ে ভেঙে দিয়েছে।
কিন্তু পরে আবার সেই সব ইটভাটা চালু করেছে এবং পরিবেশ আইন না মেনে ইটভাটা চালাচ্ছেন ইটভাটার মালিকরা। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয় না বলে ইটভাটার মালিকরা পুনারায় নিজের জায়গায় ফিরে যায়।
সংগঠনের সহ-সভাপতি আব্দুস সামাদ গাজী অভিযোগ করে বলেন, জেলায় অপরিকল্পিতভাবে স্থাপনা অনেক ইটভাটা রয়েছে। এসব ইটভাটার বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছি।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোরভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। তাই প্রসাশনের কাছে দাবি অপরিকল্পিতভাবে স্থাপনা ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
এবিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর অফিসের সহকারী পরিচালক বলেন, এবিষয়ে একটি লিখিত আবেদন পেয়েছি। পরিবেশ আইন না মেনে ইটভাটা পরিচালনা করে পরিবেশ দূষণ করলে সেইসব ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযানে পরিচালনা আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।