35 C
ঢাকা, বাংলাদেশ
সন্ধ্যা ৭:৪৬ | ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ বঙ্গাব্দ
গ্রীন পেইজ
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিলুপ্ত হয়েছিল ‘থান্ডার বার্ড’
প্রাণী বৈচিত্র্য

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিলুপ্ত হয়েছিল ‘থান্ডার বার্ড’

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিলুপ্ত হয়েছিল ‘থান্ডার বার্ড’

অস্ট্রেলিয়ায় ৪০ হাজার বছর আগে ‘থান্ডার বার্ড’ নামের বিশালাকার পাখি বিলুপ্তি হয়েছিল। এ জন্য এত দিন দায়ী করা হতো পাখিটির হাড়ের রোগ ও মানুষের উৎপাত। তবে নতুন এক গবেষণায় উঠে এসেছে ভিন্ন তথ্য। বলা হচ্ছে, পাখিটি হারিয়ে যাওয়ার কারণ জলবায়ু পরিবর্তন।

গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, থান্ডার বার্ডের বৈজ্ঞানিক নাম ‘ড্রোমোরনিথিডাই’। অস্ট্রেলিয়ার ফ্লিনডারস রেঞ্জেস এলাকার উত্তরাঞ্চলে ও অ্যালাইস স্প্রিং শহরের কাছে খোঁড়াখুঁড়ি করে পাখিটির ফসিলের সন্ধান পাওয়া গেছে। ওই ফসিলের নমুনা বিশ্লেষণ করে পাখিটির প্রজনন সম্পর্কে নতুন ধারণা পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।



ওই জীবাশ্মগুলো গবেষণা করে দেখা যায়, হাজার বছর ধরে থান্ডার বার্ডের আকার ও প্রজননচক্রে পরিবর্তন এসেছিল। বদলে যাওয়া জলবায়ুর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারেনি পাখিগুলো। দক্ষিণ আফ্রিকার ইউনিভার্সিটি অব কেপটাউনের অধ্যাপক অনুসূয়া চিনসামি তুরান বলেন, ‘দুঃখজনক হলেও সত্যি যে অসাধারণ এই পাখিগুলোকে জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছিল। কারণ, তখন অস্ট্রেলিয়ার আবহাওয়া আরও উষ্ণ ও শুষ্ক হয়ে গিয়েছিল।’

থান্ডার বার্ড কেন অস্ট্রেলিয়ার ‘ইমু’ পাখির মতো মানুষের পাশাপাশি টিকে থাকতে পারল না, তা বুঝতে হলে পাখিটির প্রাপ্তবয়স্কে পৌঁছানো এবং প্রজননের সক্ষমতার সময়কাল জানাটা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন এই অধ্যাপক।

ড্রোমোরনিথিডাই পরিবারের প্রথম ও সবচেয়ে বড় আকৃতির প্রজাতিটি ছিল ‘ড্রোমোরনিস স্টিরটোনি’। ৭০ লাখ বছর আগে সেগুলো পৃথিবীর বুকে চরে বেড়াত। ড্রোমোরনিস স্টিরটোনির উচ্চতা ছিল ৩ মিটার, ওজন ৬০০ কেজি। পুরোপুরি বেড়ে উঠতে ও প্রজননের জন্য সক্ষম হতে পাখিটির ১৫ বছর পর্যন্ত সময় লাগত।

ড্রোমোরনিথিডাই পরিবারের সবচেয়ে শেষ ও ছোট প্রজাতিটি হলো ‘জেনিওরনিস নিউটনি’। পাখিটি প্লাইস্টোসিন যুগের শেষ ভাগে দেখা যেত। তখন জলবায়ু ছিল খুবই শুষ্ক ও ঋতুগুলোর আবহাওয়ায় বড় ফারাক দেখা যেত।

অসময়ে দেখা দিত খরার মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয়। জেনিওরনিস নিউটনির ওজন ছিল ২৪০ কেজি, ইমুর চেয়ে ছয় গুণ বেশি। এ প্রজাতি ড্রোমোরনিস স্টিরটোনির তুলনায় দ্রুত প্রাপ্তবয়স্ক হতো।

প্রজননক্ষম হতে সময় লাগত এক থেকে দুই বছর। এরপর সন্তান জন্মদান শুরু করত। এরপরও এ সময়কাল বর্তমান সময়ের পাখিগুলোর প্রজননক্ষম হওয়ার সময়ের চেয়ে বেশি।



থান্ডার বার্ডের জীবাশ্ম নিয়ে অধ্যাপক অনুসূয়া চিনসামির সঙ্গে গবেষণা করেছেন অস্ট্রেলিয়ার ফ্লিনডারস ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ট্রেভর ওরদি। তিনি বলেন, বিলুপ্ত হওয়ার বহু আগে ইমুর পাশাপাশি বসবাস করত থান্ডার বার্ড।

পাখিটির জেনিওরনিস নিউটনির প্রজাতি আগের প্রজাতিগুলোর তুলনায় ভালোভাবে পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিয়েছিল এবং ২০ লাখ বছর টিকে ছিল। তবে এগুলোর প্রজননক্ষমতা ও বংশবিস্তারের গতি ছিল ইমুর চেয়ে কম।

তিনি আরো বলেন, প্রায় ৫০ হাজার বছর আগে অস্ট্রেলিয়ায় মানুষের মুখোমুখি হয় ইমু। প্রজননের সক্ষমতার কারণেই পাখিটি টিকে যায়। এর ১০ হাজার বছরের মধ্যে বিলুপ্ত হয়ে যায় থান্ডার বার্ড।

“Green Page” কে সহযোগিতার আহ্বান

সম্পর্কিত পোস্ট

Green Page | Only One Environment News Portal in Bangladesh
Bangladeshi News, International News, Environmental News, Bangla News, Latest News, Special News, Sports News, All Bangladesh Local News and Every Situation of the world are available in this Bangla News Website.

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই স্কিপ করতে পারেন। গ্রহন বিস্তারিত