বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও মার্কিন প্রেসিডেন্টের জলবায়ু বিষয়ক দূত জলবায়ু পরিবর্তনের বৈশ্বিক ইস্যুতে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে সম্মত
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র (আমেরিকা) প্যারিস জলবায়ু চুক্তির আওতায় এবং প্রয়োজনে প্যারিস চুক্তির বাইরে গিয়ে হলেও প্রতিশ্রুতি পূরণে কপ২৬ ও অন্যান্য বহুপাক্ষিক প্লাটফরমে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে আন্তরিক ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।
ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও বাইডে প্রশাষনের জলবায়ু বিষয়ক দূত জন কেরির মধ্যে এক বৈঠকে তার এ প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উক্ত বিষয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে। বৈঠকে ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং জন কেরি জলবায়ু পরিবর্তনের বৈশ্বিক ইস্যু এবং এ ব্যাপারে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের পারস্পরিক সম্ভাব্য সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
কেরি জলবায়ু পরিবর্তন ও ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বাংলাদেশ প্রতিনিয়ত যে কঠিন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে তা উল্লেখ করে বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মানুষের বাস্তুচ্যুতি সকলের জন্যই একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ইস্যু।’
এ সময় মোমেন জলবায়ু পরিবর্তনের ব্যাপারে প্যারিস চুক্তিতে কেরির গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা স্বীকার করে প্যারিস চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের ফিরে আসার সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
তিনি ঢাকায় ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম (সিভিএফ) ও গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপটেশনের (জিসিএ) আঞ্চলিক কার্যালয়ের সকল চলমান কার্যপরিকল্পনা ও ভবিষ্যৎ কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জলবায়ু বিষয়ক দূত কেরিকে অবহিত করেন।