কুড়িগ্রামে গ্রিন ইকোর চারা বিতরণ কর্মসূচি
কুড়িগ্রামের পরিবেশবাদী সংগঠন ‘গ্রিন ইকো’র উদ্যোগে তুলনামূলক কম সচ্ছল পরিবারের মধ্যে সুপারির চারা বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ‘সুপারির চারা রোপণ করি, পরিবেশবান্ধব অর্থনীতি গড়ি’ স্লোগান ধারণ করে কুড়িগ্রামে সবুজ অর্থনীতি গড়ার এই কার্যক্রম শুরু করে তারা। কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার বোতলারপাড় গ্রামে এই কার্যক্রম শুরু হয়।
২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া এই সংগঠনের মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া ২০টি পরিবারের মধ্যে পাঁচটি করে সুপারির চারা এবং এক প্যাকেট করে উচ্চফলনশীল পেঁপে বীজ প্রদান করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির পরিচালক সঞ্জয় চৌধুরী।
সঞ্জয় চৌধুরী বলেন, ‘বর্তমান পৃথিবীর সামনে জলবায়ু ও পরিবেশ বিপর্যয় মোকাবিলাই হলো প্রধান চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশের জন্য সেটি আরাও বড় রকমের চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অর্থনীতিই জলবায়ু ও পরিবেশ বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ। তাই বাংলাদেশের দরিদ্র জেলা কুড়িগ্রাম থেকে সবুজ অর্থনীতি গড়ার লক্ষ্যে আমরা কাজ শুরু করেছি।’
সঞ্জয় আরো বলেন, ‘সুপারিগাছ যেহেতু অল্প জায়গায় হয় এবং আর্থিক মূল্যও কম নয়, তাই সুপারির চারা বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। গ্রিন ইকো এ মাসেই কুড়িগ্রামের আরও তিনটি উপজেলায় এই কার্যক্রম পরিচালনা করবে।’
গ্রিন ইকোর এই কার্যক্রমের সঙ্গে আরও যুক্ত হয়েছে পরিবেশবাদী সংগঠন ‘গ্লোবাল সিটিজেন্স ফর হিউম্যানিটি’ ও ‘রিনিউ নাও’ নামের দুটি সংগঠন।
অনলাইনে গ্লোবাল সিটিজেন্স ফর হিউম্যানিটির সভাপতি এহসানুল হক যুক্তরাষ্ট্র থেকে যুক্ত হয়ে বলেন, ‘পরিবেশবান্ধব অর্থনীতিই অনেকাংশে পরিবেশ বিপর্যয়ের হাত থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করতে পারে।’ অন্যদিকে রিনিউ নাওয়ের পরিচালক রায়হান আহমেদ অনলাইনে যুক্ত হন। তিনি পরিবেশ রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানটিতে অতিথি হিসেবে ছিলেন রংপুর সরকারি কলেজের শিক্ষক প্রদীপ মিত্র। তিনি গ্রিন ইকোর এই সুপারির চারা বিতরণ কর্মসূচির প্রশংসা করে বলেন, সারা বাংলাদেশে এ রকম কার্যক্রম হওয়া দরকার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন গ্রিন ইকো কর্মী মৃণাল রায়, সুমন চ্যাটার্জি, রাশেদুল ইসলাম, বিপ্লব প্রমুখ।
গ্রিন ইকোর এই কার্যক্রমের বীজ ও চারা পাওয়া বোতলারপাড় গ্রামের মোজাফ্ফর আলী বলেন, ‘এই গাছ পায়া আমি খুব খুশি। এলা সুপারির খুব দাম। গাছ কিনবার গেলে গাছেরও অনেক দাম। এই গাছ পায়া আমার উপকার হইবে। আমার এলাকারও উন্নয়ন হইবে। পরিবেশও রক্ষা পাইবে।’