এক হাজার বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা গ্রীনল্যান্ডে
নতুন এক গবেষণায় উত্তর আমেরিকায় অবস্থিত বিশ্বের সবচেয়ে বড় দ্বীপ গ্রীনল্যান্ডে গত এক হাজার বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার তথ্য মিলেছে। এছাড়া ১৯৯০ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত সেখানে তাপমাত্রা গড়ে দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে। শুক্রবার বিজ্ঞান জার্নাল ‘ন্যাচার’-এ প্রকাশিত এক গবেষণায় এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
গ্রীনল্যান্ডের হিমবাহের একেবারে অভ্যন্তরের বরফ নিয়ে করা গবেষণা বলে দিচ্ছে, ‘বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের পরিষ্কার নিদর্শন’ এই তাপমাত্রা বৃদ্ধি। প্রাকৃতিক পৃথিবীতে মানবসৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে গত এক হাজার বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা মিলেছে সেখানে।
হিমবাহ বিশেষজ্ঞ ও জার্মানির আলফ্রেড ওয়েজেনার ইনস্টিটিউটের মারিয়া হ্যেরহোল্ড বলেন, ‘১৯৯০ সাল থেকে শুরু করে ২০১১ পর্যন্ত আমরা তাপমাত্রা বৃদ্ধির বিষয়টি নজরে রেখেছিলাম। এখন বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের সুস্পষ্ট নমুনা আমাদের হাতে রয়েছে।’
এর আগে ১৯৯৫ সালের এক গবেষণায় দেখা গিয়েছিল, গ্রীনল্যান্ডের তাপমাত্রা পৃথিবীর অন্যান্য অঞ্চলের মতো ততটা বাড়ছে না। এবারের ১৫ বছরের পর্যবেক্ষণে দেখা গেল, সেখানে তাপমাত্রা অনেকটাই বাড়ছে।
এছাড়া গত নভেম্বরে জাতিসংঘের এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০৫০ সালের মধ্যে পৃথিবীর জনপ্রিয় সব হিমবাহগুলো গলে হারিয়ে যেতে পারে। ৫০টি জায়গায় ১৮ হাজার ৬০০টি হিমবাহ নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করে থাকে জাতিসংঘ। এ শতাব্দীর মাঝামাঝি নাগাদ এগুলোর এক-তৃতীয়াংশ হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
অপর এক গবেষণায় দেখা যায়, ২১০০ সালের মধ্যে এসব হিমবাহের দুই-তৃতীয়াংশ হারিয়ে যাবে। তবে ২০১১ সালে নমুনা নেওয়া নতুন এ গবেষণায় দেখা গেল, ১৫ বছরে সুনির্দিষ্ট করে তাপমাত্রা বেড়ে গেছে।
উল্লেখ্য, প্রতি এক দশকে গ্রীনল্যান্ডে কয়েক ট্রিলিয়ন টন বরফ গলে যাচ্ছে। এই বরফ গলার মাত্রাও ক্রমবর্ধমান।