উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নদ-নদীর পানি বাড়ার সম্ভবনা
বৃষ্টিপাত বাড়ায় দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নদ-নদীর পানির বাড়ছে। সোমবার (১৬ আগস্ট) নাগাদ আরও দ্রুত বাড়তে পারে পানির সমতল।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, শুধু দেশের ভেতরে নয়, আসাম, মেঘালয়েও বৃষ্টিপাতের পরিমাণ অনেক বেড়েছে।
ফলে ভারত থেকে নেমে আসা ঢলে পানি আরও বাড়তে পারে। তবে পানির সমতল বিপৎসীমা অতিক্রম করার কোনো আভাস নেই।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া জানিয়েছেন, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানির সমতল হ্রাস পাচ্ছে, যা অব্যাহত থাকতে পারে।
গঙ্গা নদীর পানির সমতল বাড়ছে, অপরদিকে পদ্মা নদীর পানির সমতল স্থিতিশীল আছে। এই অবস্থা আগামী রবিবার (১৫ আগস্ট) পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
এছাড়া দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আপার মেঘনা অববাহিকার কুশিয়ারা ব্যতীত প্রধান নদীসমূহের পানির সমতল বাড়ছে, যা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
আগামী সোমবার (১৬ আগস্ট) নাগাদ দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন ভারতের হিমালয় পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম, আসাম ও মেঘালয় প্রদেশের স্থানসমূহে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস আছে।
এর ফলে এই সময়ে দেশের উত্তরাঞ্চলের তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আপার মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদীসমূহের পানি সমতল সময় বিশেষে দ্রুত বাড়তে পারে।
পানির সমতল বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটারের মধ্যে এলেই বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। চলতি অন্তত তিনবার স্বল্প মেয়াদী বন্যা দেখা দিয়েছে উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে, যা প্রতিবার তিন থেকে পাঁচ দিন স্থায়ী হয়েছিল।
পাউবো জানিয়েছে, তাদের পর্যবেক্ষণাধীন বিভিন্ন নদ-নদীর ১০৯টি স্টেশনের মধ্যে বুধবার (১১ আগস্ট) পানির সমতল বেড়েছে ৫৬টিতে।
কমেছে ৫০টি স্টেশনের পানির সমতল। দুটি স্টেশনের পানির সমতল অপরিবর্তিত আছে। একটি তথ্য সংগ্রহ এখনও শুরু হয়নি।