ইটভাটাগুলোকে পরিবেশবান্ধব ব্লক তৈরী করতে হবে
পরিবেশ সুরক্ষায় সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল। তিনি বলেন, দেশের প্রচলিত ইটাভাটাগুলোকে পরিবেশবান্ধব ব্লক উৎপাদন করতে হবে।
আর সেভাবেই ভাটাগুলোকে প্রস্তুত করতে হবে। পরিবেশ সুরক্ষায় ২০২৫ সালের মধ্যে সরকারি কাজে প্রচলিত ইটের ব্যবহার শূন্যের কোটায় নিয়ে আসতে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। এ ক্ষেত্রে ব্লক উৎপাদকারী উদ্যোক্তাদের বিভিন্নভাবে প্রণোদনা প্রদানের বিষয়টি বিবেচনা করছে সরকার।
সোমবার (২০ ডিসেম্বর) পরিবেশ অধিদফতরের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘এফএএল-জি ইট উৎপাদন, প্রদর্শনী ও প্রশিক্ষণ প্রকল্পের কর্মশালা’য় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পরিবেশ সচিব বলেন, ‘পরিবেশ সুরক্ষা এখন সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা। এছাড়া আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও পরিবেশ সুরক্ষা অন্যতম পূর্বশর্ত। তাই মারাত্মকভাবে পরিবেশ দূষণকারী প্রচলিত পোড়া ইটের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব ব্লক ইট অথবা ফ্লাই এশ, লাইম ও জিপসামের তৈরি এফএএল-জি ইট তৈরি করতে হবে।
’ তিনি বলেন, ‘সব ক্ষেত্রে পরিবেশবান্ধব নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার নিশ্চিত করতে সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।’
আশরাফ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) মো. মিজানুল হক চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) মো. মনিরুজ্জামান, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক এবং বাংলাদেশ ইটভাটা মালিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি খলিলুর রহমানসহ অন্যরা।
এফএএল-জি ব্লকের ওপর উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের বস্তু ও ধাতব কৌশল বিভাগের অধ্যাপক ডক্টর ফাহমিদা গুলশান এবং অন্যান্য ব্লক প্রযুক্তির ওপর উপস্থাপনা করেন হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট, ঢাকার প্রাক্তন প্রিন্সিপাল রিসার্চ অফিসার মো. আকতার হোসেন সরকার। এছাড়াও বিভিন্ন দফতর বা সংস্থার প্রতিনিধি ও বিশেষজ্ঞরা বক্তব্য দেন।