আকস্মিক শিলাবৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি
অস্বাভাবিক তাপমাত্রার কারণেই চাঁপাইনবাবগঞ্জে শিলাবৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন পরিবেশবীদরা।
গতকাল রাজশাহীর ওই অঞ্চলে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকার কথা থাকলেও তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের চেয়ে যা প্রায় ৭ ডিগ্রি বেশি। সাধারণত ২-৩ ডিগ্রি বেশি হলেই আবহাওয়ার ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের রাজশাহী আঞ্চলিক অফিসের অতিরিক্ত পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবের কারণেই মূলত এই শিলাবৃষ্টি হতে পারে। কী পরিমাণ শিলাবৃষ্টি হয়েছে তা নির্ধারণের কাজ চলছে। আজকেই মধ্যে জানা যেতে পারে।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে হয়। শিলাবৃষ্টিতে বোরো ধানের বীজতলা, সরিষা, গম, সরিষা, ডাল, পিঁয়াজ ও রসুনের ক্ষতি হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘জেলার সদর উপজেলার মহারাজপুর, রানিহাটি, বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়নসহ বিভিন্ন জায়গায় ফসলের ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া শিবগঞ্জ উপজেলার ফাঁকা, ছত্রাজিতপুর, নয়ালাভাংগা ইউনিয়নসহ কয়েকটি ইউনিয়ন ও গোমস্তাপুর ইউনিয়নের চৌডালা ইউনিয়নে ফসলের কিছু ক্ষতি হয়েছে।’
তিনি জানান, জেলায় ১৭ হাজার ৫০০ হেক্টর সরিষার মধ্যে ৩৬৫ হেক্টর, ডাল ৪ হাজার ৩০ হেক্টরের মধ্যে ১২ হেক্টর, ২৬ হাজার ১৪০ হেক্টর গমের মধ্যে ৫১ হেক্টর, বোরো ধানের বীজতলা ৩ হাজার ৩৫৭ হেক্টরর মধ্যে ২৪ হেক্টর, আলু ১ হাজার ১৯৫ হেক্টরের মধ্যে ৫ হেক্টর, রসুন ৩ হাজার ৩৫৫ হেক্টরের মধ্যে ৫ হেক্টর, পিঁয়াজ ৪ হাজার ১৪৫ হেক্টরের মধ্যে ১০৫ হেক্টর, ভুট্টা ৬ হাজার ৯২৫ হেক্টরের মধ্যে ১০ হেক্টর, শাক-সবজি ১০ হাজার ৭৫০ হেক্টরের মধ্যে ১০৮ হেক্টর ও ৫ হেক্টর স্ট্রবেরির মধ্যে ১ হেক্টরের ক্ষতি হয়েছে।
শিবগঞ্জ উপজেলার নয়ালাভাংগা গ্রামের আম বাগান মালিক গোলাম আজম জানান, শিলাবৃষ্টির কারণে আমগাছের প্রচুর পাতা ঝরে গেছে।
তবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জানান, এখনো আমগাছে মুকুল আসেনি, ফলে তেমন ক্ষতি হবেনা। নতুন পাতা গজাবে। বরং বৃষ্টিতে আম গাছ ধুয়ে যাওয়ায় উপকার হবে।