২০২৩ জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন “কপ-২৮” সম্মেলন , ডুবাই
গত ৩০ নভেম্বর, ২০২৩ তারিখে জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সম্মেলন দুবাইয়ের এক্সপো সিটিতে শুরু হয়েছে যা আগামী ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে সমাপ্ত হবে।
ইহা জলবায়ু পরিবর্তনের উপর জাতিসংঘের কাঠামোগত সম্মেলন (United Nations Framework Convention on Climate Change-UNFCCC) এর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার, জাতিসংঘ, জাতিসংঘের জলবায়ু সংক্রান্ত সংস্থাসমূহ এবং আন্তর্জাতিক জলবায়ুর পরিবর্তণ রোধে কাজ করা ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী সংস্থাসমূহ এর প্রতিনিধিদের সম্মেলণ (United Nations Climate Change conference – COP )নামে পরিচিত।
সম্মেলনের উদ্দেশ্য হল সরকারগুলিকে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি সীমিত করার এবং জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে সম্পর্কিত প্রভাবগুলির সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার নীতিতে একমত হওয়া।
১৯৯২ সালে জাতিসংঘের প্রথম জলবায়ু চুক্তির পর থেকে এই সম্মেলনটি বার্ষিকভাবে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এ বছর ইহা ২৮তম সম্মেলন (UNFCCC COP28)।
এ বছরের সম্মেলনে বিশ্বের ১৯৮ দেশ ও অঞ্চলের ৮৪ হাজারের বেশি প্রতিনিধি, বিশেষজ্ঞ, সাংবাদিক ও অধিকারকর্মী যোগ দেওয়ার জন্য রেজিষ্ট্রেশণ করেছে, নির্দিষ্ট সংখ্যা সম্মেলন শেষে জানা যাবে।
এবারের সম্মেলনে বৈশ্বিক উষ্ণতা নিয়ন্ত্রণে রাখার এজেন্ডার পাশাপাশি প্রভাব রেখেছে ইসরাইল-হামাস দ্বন্দ্ব। ৩০ নভেম্বর, ২০২৩ তারিখে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস সম্মেলনটি উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী বক্তৃতায় তিনি বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির বিষয়ে বিশ্বকে সর্তক করে দেন এবং বলেন ২০২৩ সাল বিশ্বের সবচেয়ে বেশ উষ্ণতর বছর হতে চলেছে এবং বিশ্ব যদি সর্তক না হয় তবে প্যারিস চুক্তি (Paris Agreement) অনুসারে এ শতাব্দিতে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি প্রাক শিল্প যুগের উষ্ণতার স্তর হতে ১.৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস বৃদ্ধি না হতে দেওয়ার যে টার্গেট তা সফল হবে না।
সম্মেলনে শুরুতেই প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিধ্বস্ত দুর্বল দেশগুলোর জন্য ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত তহবিল চালু করতে সম্মত হয়েছেন সম্মেলনের নেতারা যা অত্যন্ত ইতিবাচক। যদিও এ তহবিলে কোন দেশ কী পরিমাণ অনুদান দিবে তা এখনও নির্দিষ্ট করা হয়নি। তবে ইতোমধ্যে কিছু দেশ যেমন কপ-২৮ সম্মেলনের আয়োজক দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত এক হাজার লাখ ডলার, জার্মানি এক হাজার লাখ ডলার, ব্রিটেন কমপক্ষে ৫১০ লাখ ডলার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৭৫ লাখ ডলার এবং জাপান ১০০ লাখ ডলার অনুদান দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে।
এ সম্মেলনে প্রতিনিধিরা জীবাশ্ম জ্বালানির ভবিষ্যৎ থেকে শুরু করে দীর্ঘ জলবায়ু আলোচনার বিষয়সমূহ নিয়ে আলোচনা করবেন।১৪০টির বেশি দেশের সরকার প্রধান, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী অথবা তাদের প্রতিনিধিগণ গত ০১-০২ ডিসেম্বর,২০২৩ দুবাই কমপ্লেক্সে ভাষণ দেবেন।জলবায়ু ইস্যুর সঙ্গে এবারের সম্মেলনে জলবায়ু সংকটের পাশাপাশি গাজার সংঘাতের এজেন্ডাও থাকতে পারে।
সম্মেলনের তৃতীয় দিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের ২২ দেশ কার্বন নিঃসরণ কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তারা ২০৫০ সালের মধ্যে পারমাণবিক বিদ্যুতের কার্যক্রম বর্তমানের চেয়ে তিনগুণ করার আশ্বাস প্রদান করে।
যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া প্রতিশ্রুতি দেওয়া দেশগুলোর তালিকায় রয়েছে বুলগেরিয়া, কানাডা, চেক রিপাবলিক, ফ্রান্স, ঘানা, হাঙ্গেরি, জাপান, মলদোভা, মঙ্গোলিয়া, মরক্কো, নেদারল্যান্ডস, পোল্যান্ড, রোমানিয়া, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, সুইডেন, ইউক্রেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাজ্য।
কপ-২৮ এর আয়োজনকারী দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত খুব উষ্ণ এবং আর্দ্র আবহাওয়ার কারণে বিশ্বের সবচেয়ে জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলির মধ্যে একটি। ১৯৯০ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বার্ষিক বায়ুর গড় তাপমাত্রা ১.২৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস (২.২৯ ডিগ্রী ফারেনহাইট) বৃদ্ধি পেয়েছে। গ্রীণ হাউজ গ্যাসের নির্গমন হ্রাস না করে, এই অঞ্চলে ওয়েট-বাল্ব তাপমাত্রা (wet-bulb temperatures) ২০৭০-এর দশকের মধ্যে দীর্ঘ সময়ের জন্য ৩৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস (৯৫ ডিগ্রী ফারেনহাইট) অতিক্রম করবে বলে আশংকা করা হচ্ছে।
এই অঞ্চলে অনুভূত অন্যান্য প্রভাবগুলি হল ধূলিঝড়, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি এবং খরা৷ ”ক্লাইমেট অ্যান্ড ক্লিন এয়ার কোয়ালিশন (Climate and Clean Air Coalition)” এর মতে সংযুক্ত আরব আমিরাত তার অর্থনীতির বিভিন্ন সেক্টরে বিভিন্ন উপায়ে নির্গমন কমানোর চেষ্টা করছে। ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে জৈব ও হাইড্রোপনিক কৃষির প্রচার, ইতিহাদ রেল নির্মাণ, বর্জ্য হ্রাস করা (বিশেষ করে খাদ্যের বর্জ্য)এবং আরও বৃত্তাকার অর্থনীতির প্রচার। ক্লাইমেট অ্যান্ড ক্লিন এয়ার কোয়ালিশনের মতে সংযুক্ত আরব আমিরাত তার অর্থনীতির বিভিন্ন সেক্টরে বিভিন্ন উপায়ে নির্গমন কমানোর চেষ্টা করছে। ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে জৈব ও হাইড্রোপনিক কৃষির প্রচার, ইতিহাদ রেল নির্মাণ, বর্জ্য হ্রাস করা (বিশেষ করে খাদ্যের বর্জ্য)এবং আরও বৃত্তাকার অর্থনীতির প্রচার।
সংযুক্ত আরব আমিরাত ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নির্গমন নিট শূন্যে নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে; মধ্যপ্রাচ্যের প্রথম দেশ হিসাবে এ দেশের সরকার এই ধরনের প্রতিশ্রুতি দেয়। এটি ছিল এই অঞ্চলের প্রথম দেশ যেটি ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬-এ প্যারিস চুক্তিতে স্বাক্ষর করে।
দেশটি আন্তর্জাতিকভাবে পরিচ্ছন্ন শক্তিতে ৫০ বিলিয়ন ইউ এস ডলার বিনিয়োগ করেছে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে অতিরিক্ত ৫০ বিলিয়ন ইউ এস ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। নভেম্বর ২০২৩ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাত ক্লিন এনার্জিতে আরও ১০০ বিলিয়ন ইউ এস ডলার বিনিয়োগ করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে অংশীদার হতে সম্মত হয়।
১লা আগস্ট ২০২৩-এ সংযুক্ত আরব আমিরাত পরিবেশবাদী কর্মীদের শীর্ষ সম্মেলনে “শান্তিপূর্ণভাবে একত্রিত হওয়ার” অনুমতি দেয় এবং সে দেশে অননুমোদিত প্রতিবাদ সমাবেশ করা নিষিদ্ধ – আইন থাকা সত্ত্বেও তাদের “পরিবেশবাদী কর্মীদের প্রতিবাদ সমাবেশ” করার জন্য একটি জায়গা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি প্রদান করে।
সম্মেলনের প্রায় ২ মাস আগে কেউ কেউ আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছিল যা তারা সফল জলবায়ু কর্মের জন্য প্রয়োজনীয় শর্ত হিসাবে দেখেছিল।
ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সির প্রধান ফাতিহ বিরল শীর্ষ সম্মেলনে উল্লেখযোগ্য সাফল্যের আশা প্রকাশ করেছেন কিন্তু উল্লেখ করেছেন: ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি, ইউক্রেনের যুদ্ধ নিয়ে অনেক দেশ দ্বন্দ্বে আছে এবং মার্কিন ও চীনের মধ্যে এখনও হিমশীতল সম্পর্ক থাকবে যা একটি কঠিন সম্মেলনের সফলতা অর্জনে জন্য প্রধান অন্তরায়।
বাংলাদেশ হতে সরকারি, রেড ক্রিসেন্ট ও জাতীয়-আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিগণ কপ ২৮ এ অংশগ্রহণ করেছে। সম্মেলনে অংশগ্রণের প্রস্তুতি ও বাংলাদেশের অবস্থান স্পষ্ট করতে গত কয়েক মাস ধরেই সরকারের পক্ষ হতে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলিকে নিয়ে বিভিন্ন সভায় ও ফোরামে আলোচনা করা হয়েছে।
সম্মেলনে বাংলাদেশের উপস্থাপনা হবে কপ ২৭ এ জাতিসংঘ মহাসচিবের প্রস্তাবনা অনুসারে সবার জন্য দুর্যোগের পূর্বাভাস (আর্লি ওয়ার্নিং ফর অল) বিষয়ে বাংলাদেশের প্রস্তুতি জানানো। এছাড়া বাংলাদেশের অন্যান্য অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন ইভেন্টে বাংলাদেশের জলবায়ুর পরিবর্তণ রোধ বিষয়ে অভিজ্ঞতা বিনিময় ছাড়াও পলিসি আলোচনায় অংশগ্রহণ ও অ্যাডভোকেসি করবে বলে আশা করা যায়।
বাংলাদেশের অভিমত হলেঅ প্যারিস জলবায়ু চুক্তি মোতাবেক ২০০০ শতাব্দিতে বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধি প্রাক-শিল্প স্তরের উপরে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এ সীমাবদ্ধ রাখা বিশ্ববাসীর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ হল আন্তর্জাতিক সহযোগিতার অভাব।
সম্মেলণে অংশগ্রহনকারী বাংলাদেশের জলবায়ু দূত বৈশ্বিক সংহতির অভাবকে জলবায়ু পরিবর্তন রোধে কার্যকর প্রদক্ষেপ গ্রহণ না করতে পারার প্রধান বাধা হিসেবে বর্ণনা করেছেন এবং জলবায়ু পরিবর্তণ জনিত ক্ষতি রোধ ও ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসে তহবিল গঠনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন।
জলবায়ু পরিবর্তণ জনিত কারণে ক্ষতিগ্রস্ত সরকারগুলি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যে, ইউক্রেনের যুদ্ধের মতোই ২০২৩ সালের ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ কপ’২৮-এ আলোচনার উপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। ২০২৩ সালের নভেম্বরের শেষে মন্ত্রীদের একটি প্রাক- COP সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
১০০টি প্রতিনিধি দল এবং ৭০ জন মন্ত্রী উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন যাতে উপস্থিতি ছিল ইতিপূর্বকার যে কোনো পূর্ববর্তী প্রাক-COP বৈঠকের চেয়ে বেশি। COP-এর জেনারেল ডিরেক্টর মাজিদ আল-সুওয়াইদি ২০২২ সালের জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনে মনুষ্যসৃষ্ট পরিবেশের “ক্ষয় এবং ক্ষতি (Loss and damage)” এর ডোমেইন এর ক্ষেত্রে গৃহীত সিদ্ধান্তের উপর জোর প্রদান করেন।
সম্মেলনের আগে পোপ ফ্রান্সিস জলবায়ু সংকটের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে এবং জলবায়ু পরিবর্তন অস্বীকারের নিন্দা জানিয়ে লাউডেট ডিউম (Laudate Deum) নামে একটি প্রেরিত উপদেশ জারি করেন।
পোপ সম্মেলনে যোগদানের পরিকল্পনা করেছিলেন যা জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনে প্রথম পাপাল সফর (Papal visit)কে চিহ্নিত করবে, কিন্তু অসুস্থতার কারণে তার সফর প্রত্যাহার করতে হয়েছিল।
রাজা তৃতীয় চার্লসও এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তবে চলমান ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ এবং অভ্যন্তরীণ মার্কিন সরকারের ব্যয় সংক্রান্ত অসুবিধা কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন উপস্থিত থাকবেন না আশংকা রয়েছে।
চীনের প্রতিনিধি ঘোষণা করেছেন যে চীন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন সম্মেলনের সাফল্য নিশ্চিত করতে সহযোগিতা করতে সম্মত হয়েছে। নভেম্বরের শুরুতে অভ্যন্তরীণ ব্যক্তিরা সতর্কতার সাথে সম্মেলনের আগে চীন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি জলবায়ু চুক্তির আশা প্রকাশ করেছিল, ২০১৪ সালের চুক্তির মতো যা প্যারিস চুক্তির পথ প্রশস্ত করেছিল।
চীন সম্মেলনের আগে মিথেন নির্গমন কমানোর একটি পরিকল্পনা প্রকাশ করেছিল, তবে চীনে কয়লা ব্যবহার নিয়ে প্রত্যাশিত বিতর্ক ছিল। চীন সম্প্রতি কয়লাকে তার শক্তি নিরাপত্তার জন্য অপরিহার্য হিসাবে চিহ্নিত করেছে যদিও অন্যরা বলে যে শক্তি গ্রিড এবং অভ্যন্তরীণ শক্তি বাজারে আপগ্রেডের মাধ্যমে শক্তি সুরক্ষা উন্নত করা যেতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন এবং চীনের ভাইস প্রেসিডেন্ট হে লাইফং-এর মধ্যে আলোচনা জলবায়ু সংক্রান্ত বিষয়ে দেশগুলির মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং ২০২৩ সালের APEC শীর্ষ সম্মেলনে জো বিডেন এবং শি জিনপিংয়ের মধ্যে বৈঠক থেকে অনেক কিছু আশা করা যাচ্ছে।
এশিয়া সোসাইটি পলিসি ইনস্টিটিউট থেকে কেট লোগানের মতে ২টি দেশের মধ্যে সহযোগিতা “COP28-এ একটি সফল ফলাফলের জন্য মঞ্চ তৈরি করতে পারে”।
গত ১৫ নভেম্বর ২০২৩, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীন “২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী নবায়নযোগ্য শক্তি শক্তিকে তিনগুণ করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার জন্য” মার্কিন প্রেসিডেন্ট এর জলবায়ু দূত জন কেরি এবং চীনের ভাইস প্রেসিডেন্ট জি জেনহুয়ার মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে একটি চুক্তি ঘোষণা করা হয়েছে।
চুক্তিতে কার্বন ডাই অক্সাইড ব্যতীত অন্যান্য উষ্ণায়ন এজেন্টসহ গ্রিনহাউস গ্যাসগুলি মোকাবেলার প্রতিশ্রুতি অন্তর্ভুক্ত ছিল, তবে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিকে পর্যায়ক্রমে বন্ধ করার জন্য চীনের প্রতিশ্রুতি অন্তর্ভুক্ত না করার জন্য চুক্তিটি সমালোচিত হয়। COP28-এর মনোনীত প্রেসিডেন্ট সুলতান আল জাবের চুক্তিটিকে একটি “উল্লেখযোগ্য ফলাফল” হিসাবে প্রসংসা করেন।