পরিবেশ রক্ষায় নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার বাড়ানোর তাগিদ
নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার ব্যাপকভাবে বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের শিল্প ও উন্নত প্রযুক্তিমন্ত্রী সুলতান আহমেদ আল জাবের। তিনি আগামী নভেম্বরে দুবাইয়ে অনুষ্ঠেয় জাতিসংঘের বার্ষিক জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনের (কপ২৮) সভাপতি।
এই সম্মেলনের আগে শনিবার জার্মানির বার্লিনে অনুষ্ঠিত জলবায়ু কূটনীতিকদের বৈঠক ‘পিটার্সবার্গ জলবায়ু সংলাপে’র উদ্বোধনী বক্তব্যে অংশীদারদের এই আহ্বান জানান তিনি।
আল জাবের বলেন, আমরা নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ বাড়াব, যা ২০৩০ সালের মধ্যে তিন গুণ এবং ২০৪০ সালের মধ্যে দ্বিগুণ হবে। তাঁর এই আহ্বান আন্তর্জাতিক শক্তি সংস্থার পরিকল্পিত একটি বিষয় চিহ্নিত করেছে, যা জনসাধারণ সমর্থন করে।
গত মাসে জাপানে জি৭ নেতাদের সঙ্গে একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠকেও তিনি বিষয়টি উত্থাপন করেছিলেন। তবে একই সময়ে তিনি জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার সম্পূর্ণ বন্ধ করার আহ্বান জানাননি।
তিনি বলেছেন, নবায়নযোগ্য শক্তি বাড়ানোর সময় যে নির্গমন হয়, তা অপসারণের দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা এবং টেকসই জ্বালানি ব্যবস্থায় পৌঁছাতে জাতিসংঘ ও পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহারে উৎসাহ ও জোর দিয়ে আসছে।
নবায়নযোগ্য জ্বালানি এমন এক শক্তির উৎস, যা স্বল্প সময়ের ব্যবধানে পুনরায় ব্যবহার করা যায়। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি চাহিদা মেটাতে এতদিন ব্যবহার করে আসা জীবাশ্ম জ্বালানির বিপরীতে নবায়নযোগ্য শক্তি বর্তমানে বিশ্বে ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার পর্যায়ক্রমে বন্ধ করার জন্য জোর দিতে হবে।
বিপরীতে কার্যকরী, সাশ্রয়ী শূন্য কার্বন বিকল্পগুলোকে পর্যায়ক্রমে বাড়িয়ে তুলতে হবে। বিশ্বে ২০২৩ অথবা ২০২৪ সালে গড় তাপমাত্রার নতুন রেকর্ড হতে পারে বলে সম্প্রতি জানিয়েছেন জলবায়ু বিজ্ঞানীরা।
এদিকে এ বছরের শুরুর দিকে জাতিসংঘের জলবায়ু বিশেষজ্ঞ প্যানেল বলেছিল, বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখা না গেলে বিপর্যয় দেখা দেবে।
পিটার্সবার্গ জলবায়ু সংলাপের আহ্বায়ক জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক বলেছেন, এই বছরের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করা সম্ভব হবে। এদিকে এক গবেষণায় দেখা গেছে, অনেক ইউরোপীয় জলবায়ু সংকটের কারণে উদ্বিগ্ন এবং স্বেচ্ছায় ব্যক্তিগত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চান।
এটি মোকাবিলায় সহায়তা করার জন্য সরকারি নীতিগুলোকে সমর্থন করবে। তবে যত বেশি তাঁদের জীবনযাত্রা পরিবর্তন করবে, তাঁরা তত কম সমর্থন করবেন। দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, ডেনমার্ক, সুইডেন, স্পেন ও ইতালিতে জলবায়ু-সংক্রান্ত পদক্ষেপের সমর্থন পরীক্ষা করেছে ইউগোভ।