পরিবেশ দূষণরোধে শিশুবান্ধব বিনিয়োগ প্রকল্প করতে হবে
জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ দূষণরোধে গৃহীত বিনিয়োগ প্রকল্প শিশুবান্ধব করার আহ্বান জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা। একই সঙ্গে বিশ্বব্যাপী প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত শিশুদের টেকসই পুনর্বাসন কর্মসূচি গ্রহণেরও আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশ শিশু একাডেমি থেকে সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত ‘এশিয়া প্যাসিফিক রিজিওনাল ভার্চুয়াল কনফারেন্স অন আরলি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্ট’ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এসব আহ্বান জানান।
এ ভার্চুয়াল সম্মেলনের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘ইয়াং চিল্ড্রেন ইন ক্রাইসিস: এড্রেসিং দ্য ইমপ্যাক্ট অব দ্য কোভিড প্যানডেমিক, ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ইনভায়রনমেন্টাল ডিগ্রেডশন’।
এশিয়া প্যাসিফিক রিজিওনাল নেটওয়ার্ক ফর আরলি চাইল্ডহুডের (আরনেক) বোর্ড অব ডিরেক্টরস চেয়ার ড. শেলডন শেফারের সভাপতিত্বে চার দিনব্যাপী ভার্চুয়াল সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- ইউনিসেফের ইস্ট এশিয়া প্যাসিফিক ডেপুটি রিজিওনাল ডিরেক্টরস মায়ো জিন নয়েট, ইউনেস্কোর এশিয়া প্যাসিফিক রিজিওনাল ডিরেক্টরস শিগেরু আয়োগি ও কম্বোডিয়ার শিক্ষা, যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী ড. হ্যাং চুন ন্যারন।
সম্মেলনে ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা আরো বলেন, শিশুদের জন্য একটি টেকসই বিশ্ব গঠনের লক্ষ্যে দ্রুত কার্বন নির্গমন হ্রাস করতে আমাদের এখনই আন্তরিক প্রতিশ্রুতি ও জরুরি পদক্ষেপ প্রয়োজন।
তিনি আরো বলেন, কোভিড মহামারিতে স্কুল ও শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র বন্ধ হওয়ায় বিশ্বব্যাপী ১৫০ কোটি এবং দক্ষিণ এশিয়ায় ৪২ কোটি শিশুর শিক্ষা ও বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তন এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের শিশুদের জীবন ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলছে। দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশে ঘরের বাইরের বায়ুদূষণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আন্তর্জাতিক মানের ছয় গুণ। ফলে পরিবেশ দূষণের কারণে শিশুদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি ও রোগের উচ্চ ঝুঁকি সৃষ্টি হচ্ছে।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বের সর্বাধিক ঝুঁকিপূর্ণ রাষ্ট্রগুলোর একটি বাংলাদেশ। অথচ জলবায়ুর পরিবর্তনে বাংলাদেশের কোনো দায় নেই।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। একটি মেধাসম্পন্ন জাতি গড়ার লক্ষ্যে সরকার আরলি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্ট নীতি-২০১৩ ও কর্মপরিকল্পনা ২০১৭ বাস্তবায়ন করছে। ফলে শিশুদের সুষ্ঠু শারীরিক, বুদ্ধিবৃত্তিক, সামাজিক ও আবেগীয় বিকাশ হচ্ছে।