চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সলিমপুর ইউনিয়নের জঙ্গল সলিমপুর গ্রামে চারদিকে দেয়াল তুলে পাহাড় কাটা ও ঘর নির্মাণ শুরু করেছে দুর্বৃত্তরা। পাহাড় কেটে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টার অভিযোগে গতকাল শুক্রবার ২২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর।
এর আগে গত ২৪ জুন উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের যৌথ অভিযানে একই স্থানে পাহাড় কেটে নির্মিত অবৈধ ঘর ও স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছিল। এ ঘটনার পর কিছুদিন পাহাড় কাটা ও ঘর নির্মাণ বন্ধ থাকলেও আবার সক্রিয় হয় দুর্বৃত্তরা।
গতকাল চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক হারুন অর রশীদ বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় এম নুর (প্রা.) লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. নাছির উদ্দিন (৪৮) ও তাজ মেরিন স্টোরের তাজুল ইসলামের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ২০ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, জঙ্গল সলিমপুর মৌজার ৩৮৬, ৩৮৮, ৫৪৮, ৫৩৭ ও ৫৯৮ খতিয়ানের বিএস ৩৫৯ ও ৩৬১ নম্বর দাগের ৫০-৮০ ফুট উচ্চতার ৩-৪ একর পাহাড় সরকারের অনুমোদন না নিয়ে কেটে ছোট-বড় ঘর নির্মাণ করছিলেন আসামিরা। এমন খবর পেয়ে গত ১৪ মার্চ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। এ সময় পাহাড়ের মাটি দিয়ে নিচু জমিও ভরাট করা হয়। কর্মকর্তারা ঘর নির্মাণ ও নিচু জায়গা ভরাটের প্রমাণ পান। এরপর গত ২৮ জুন জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে পরিবেশ অধিদপ্তর নির্মিত ঘরগুলোসহ স্থাপনা উচ্ছেদ করে। সর্বশেষ ১০ নভেম্বর পরিদর্শনে গিয়ে কর্মকর্তারা দেখতে পান, ওই জায়গার চারপাশে ইটের দেয়াল নির্মাণের কাজ শুরু করেছেন আসামিরা। ইতিমধ্যে কিছু ঘর পুনরায় নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ২০১০–এর ৬(খ) ধারায় মামলাটি করেন।
সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন বণিক বলেন, গতকাল শুক্রবার মামলাটি থানায় রেকর্ড করা হয়েছে। মামলাটির তদন্ত করবেন পরিবেশ অধিদপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। সূত্র: প্রথম আলো