42.2 C
ঢাকা, বাংলাদেশ
বিকাল ৫:২৬ | ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ বঙ্গাব্দ
গ্রীন পেইজ
অন্যান্য

সূর্যের রশ্মি ও বাতাস থেকে বিমানের জ্বালানি উৎপাদনের সাহসি প্রচেষ্টা

প্রচলিত প্রয়োগের বাইরেও সৌরশক্তির আরও অনেক ব্যবহার নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা চলছে ৷ তবে সূর্যের রশ্মি কাজে লাগিয়ে শুধু বাতাস থেকে বিমান চালানোর জ্বালানি উৎপাদনের সাহসি প্রচেষ্টা সত্যি বিরল ৷

সূর্যের রশ্মি ও বাতাস থেকে বিমানের জ্বালানি উৎপাদনের সাহসি প্রচেষ্টা

রাইনহার্ড মাই প্রায় ২৫ বছর আগে বিমানে চড়ার রোম্যান্টিক অনুভূতি নিয়ে গান বেঁধেছিলেন৷ কিন্তু আজ পরিস্থিতি বদলে গেছে৷ এখন হয়তো তিনি জলবায়ু পরিবর্তন ও বিমানে ভ্রমণের লজ্জা নিয়ে গান লিখতেন৷ কারণ আকাশ বিমানে ভরে যাচ্ছে ৷ দিনের পর দিন আমরা গোটা বিশ্বে সেকেন্ডে ১১,৫০০ লিটার এভিয়েশন ফুয়েল বা তেল পোড়াচ্ছি৷ এভাবে কোটি কোটি বছর ধরে মাটির নীচে চাপা গাছপালা থেকে খনিজ তেলের কার্বন-ডাই-অক্সাইড বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে জলবায়ু পরিবর্তন প্রক্রিয়া তরান্বিত করছে ৷

কিন্তু কোনো কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গমন করে না, বিমানের জন্য যদি এমন জ্বালানী তৈরি করা যেত, তাহলে কেমন হতো? শুধু পানি, বাতাস ও সূর্যের আলোই যদি তার উপাদান হতো?

জুরিখ শহরের প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ঠিক সেই লক্ষ্যেই গবেষণা চলছে৷ ছাদের উপর এক বিশেষভাবে তৈরি সৌর চুল্লি বসানো হয়েছে, যা সূর্যের ঘনিভূত রশ্মির সাহায্যে চারিপাশের বাতাস থেকে জ্বালানী সৃষ্টি করে৷  সেটি আডো স্টাইনফেল্ড ও তাঁর ছাত্রছাত্রীদের সেরা সৃষ্টিকর্ম৷ এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই টিম সেই যন্ত্র নিয়ে কাজ করছে৷ সূর্য, বাতাস ও পানি থেকে জ্বালানী তৈরির তত্ত্ব যে সত্যি কার্যকর হতে পারে, এই প্লান্ট তার সাক্ষাৎ প্রমাণ৷

প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে বাতাস শুষে নেওয়া হয় এবং তার মধ্য থেকে পানি ও কার্বন-ডাই-অক্সাইড সংগ্রহ করা হয়৷ তারপর আয়না বসানো ডিশে সূর্যের রশ্মি পুঞ্জিভূত করা হয়৷ এভাবে দুটির মধ্যে একটি রিয়্যাক্টরকে দেড় হাজার ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উত্তপ্ত করা হয়৷ এই দুই চুল্লির মূলে রাখা এক ক্যাটালিটিক কনভার্টার রূপান্তরের প্রথম ধাপ সম্ভব করে৷

স্পঞ্জের মতো বৈশিষ্ট্যের এই কনভার্টারের উপর সেরক্সাইড নামের বিরল ধাতুর প্রলেপ থাকে৷ এর মাধ্যমে পানি ও কার্বন-ডাই-অক্সাইডের উপাদানগুলি বিভক্ত করে আবার নতুন করে জোড়া দেওয়া হয়৷ ফলে তথাকথিত ‘সিনগ্যাস’ সৃষ্টি হয়৷

হাইড্রোজেন ও কার্বন মনোক্সাইডের এই মিশ্রণ অবশেষে এক ধরনের রাসায়নিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এভিয়েশন ফুয়েলের মতো জ্বালানীতে রূপান্তরিত করা যায়৷ এভাবে তৈরি করা কৃত্রিম জ্বালানী ব্যবহার করলে বায়ুমণ্ডলে যে কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গমন করা হবে, সেটি তো বাতাস থেকেই নেওয়া হয়েছিল৷ কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তার ফলে সমস্যা দূর হবে না৷ জুরিখ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. ফিলিপ ফুরলার বরেন, ‘‘এই মুহূর্তে এই প্লান্টে দিনে এক ডেসিলিটারেরও কম জ্বালানী তৈরি হয়৷ অর্থাৎ উৎপাদনের ব্যয় এখনো খুব বেশি৷’’

অন্যদিকে অ্যাটলান্টিক মহাসাগর পেরোতে একটি বিমান সেকেন্ডে প্রায় এক লিটার তেল পোড়ায়৷ অর্থাৎ ঘণ্টায় ৩,০০০ লিটার৷

সূর্যের রশ্মি ও বাতাস থেকে বিমানের জ্বালানি উৎপাদনের সাহসি প্রচেষ্টা

জুরিখের এই প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে স্পেনে আরও বড় পরীক্ষামূলক প্লান্ট চালু করেছে৷ কিন্তু সেখানেও জ্বালানী উৎপাদনের পরিমাণ অতি সামান্য৷ তবে ‘সান টু লিকুইড’ নামের কৌশল যে বড় আকারেও কার্যকর হতে পারে, এই উদ্যোগ তা প্রমাণ করতে পেরেছে ৷ সূত্র: ডিডাব্লিউ

“Green Page” কে সহযোগিতার আহ্বান

সম্পর্কিত পোস্ট

Green Page | Only One Environment News Portal in Bangladesh
Bangladeshi News, International News, Environmental News, Bangla News, Latest News, Special News, Sports News, All Bangladesh Local News and Every Situation of the world are available in this Bangla News Website.

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই স্কিপ করতে পারেন। গ্রহন বিস্তারিত