জাপানি মডেল ব্যবহার করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বর্জ্যমুক্ত করতে হবে
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকসহ বর্জ্যমুক্ত করতে জাপানি মডেল ব্যবহার করা হবে।
জাপানি ড্রিম এডুকেশন মডেল ব্যবহার করে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নত করার মাধ্যমে দেশের বিদ্যালয়গুলোকে ‘ক্লিন অ্যান্ড গ্রিন’ করা হবে। এলক্ষ্যে বিদ্যালয়গুলোতে প্রচুর সংখ্যক চারারোপণ করা হবে।
বৃহস্পতিবার স্কুল এইড জাপান, বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল কাতসুশি ফুরুসাওয়ার নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল পরিবেশমন্ত্রীর সঙ্গে সচিবালয়ে তার অফিস কক্ষে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর পরিবেশমন্ত্রী এ কথা বলেন।
স্কুল এইড জাপান, বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল কাতসুশি ফুরুসাওয়া বলেন, স্কুলগুলোতে পরিবেশ সংরক্ষণ ও পরিচ্ছন্নতা বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে অনুকরণীয় মডেল তৈরি করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চাই।
১০০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এসডিজি ক্লাব কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে চাই, যার ফলে পরিবেশবান্ধব জাতি গঠন হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মডেল সমগ্র বাংলাদেশে ছড়িয়ে দিতে চাই। পরিবেশ বিষয়ক শিক্ষা সম্প্রসারণে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে চাই।
এর আগে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর সঙ্গে বৈঠকে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরের মতো বড় শহরগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বর্জ্য ও দূষণমুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
পরে মন্ত্রী ড্যান্ডি ইউনিভার্সিটির প্রফেসর জন রোয়েন নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনায় জলবায়ু ইস্যু বিশেষ করে লস অ্যান্ড ড্যামেজ ইস্যুতে স্কটল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
ইউএনউমেন এর প্রতিনিধি দলের সঙ্গে অপর এক বৈঠকে পরিবেশমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ সরকার নারীর ক্ষমতায়ন কাজ করছে এবং সরকার জেন্ডার বাজেট প্রণয়ন করছে।