আবর্জনার স্তূপ জমা হয়ে আছে রাজবাড়ী মহাসড়কের পাশেই
রাজবাড়ী পৌরসভার ময়লা-আবর্জনা রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে ফেলা হচ্ছে। এতে সেখানে জন্ম নিচ্ছে মশা-মাছি, ছড়াচ্ছে বিভিন্ন প্রকার রোগ-জীবাণু।
অপরদিকে ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধে পথচারীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। রাজবাড়ী পৌরসভা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পৌরসভায় বর্তমানে ৭০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী, ১৫ জন সুপারভাইজার, আবর্জনা পরিষ্কারের জন্য দুটি ট্রাক ও একাধিক ভ্যান রয়েছে।
রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের শ্রীপুর বাস টার্মিনাল এলাকায় রয়েছে কয়েক শত দোকান, বসতবাড়িসহ বেশ কয়েকটি সরকারি প্রতিষ্ঠান।
এছাড়াও প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে হাজারো যানবাহনসহ পথচারী চলাচল করে। প্রতিনিয়তই জনবসতি ও গুরুত্বপূর্ণ সড়কের ওপরেই ময়লা আবর্জনা ফেলে স্তূপ করে রাখছে রাজবাড়ী পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা।
শুধু সড়কে নয় পৌরসভার আবাসিক এলাকা ১ নম্বর বেড়াডাঙ্গাসহ বিভিন্ন এলাকার সড়কগুলোতেও স্তূপ করে রাখা হয়েছে ময়লা-আবর্জনা।
এ সময় শ্রীপুর বাস টার্মিনাল এলাকা দিয়ে চলাচলরত পথচারী মো. আব্দুল হামিদ বলেন, দিনের পর দিন সড়কের ওপর ময়লা ফেলছে পৌরসভার কর্মীরা। মাস্ক পরে থেকেও নাক চেপে চলতে হচ্ছে।
শ্রীপুর এলাকার বাসিন্দা মো. খায়রুল ইসলাম বলেন, শুধু আসা-যাওয়ায় ভোগান্তি নয়, এই ময়লা থেকে জন্ম নিচ্ছে মশা-মাছি, ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ।
আশপাশের বাড়ির বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। রাতের বেলায় দুর্গন্ধে ঘুমানোও যায় না। খাওয়া-দাওয়া করতেও কষ্ট হচ্ছে। শ্রীপুর বাস টার্মিনাল এলাকার ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান মণ্ডল বলেন, এই ময়লা-আবর্জনার কারণে শ্রীপুরে থাকা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হওয়ার পথে। কাস্টমার বিভিন্ন পণ্য কিনতে আসছে, কিন্তু নাক বন্ধ করে চলে যাচ্ছে।
রাজবাড়ী পৌরসভার মেয়র মো. আলমগীর শেখ তিতু বলেন, মশক নিধনে পৌরসভা থেকে প্রতিদিন পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা শহরের বিভিন্ন এলাকায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নসহ মশক নিধনের ওষুধ ছিটাচ্ছেন।
আপাতত পৌরসভার ময়লা ফেলার কোনো জায়গা নেই। তাই সড়কের পাশেই ময়লা ফেলা হচ্ছে। এতে পথচারীসহ এলাকাবাসীর সাময়িক অসুবিধা হচ্ছে। তবে পৌরসভার ময়লা-আবর্জনা ডাম্পিং করার জন্য ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে শ্রীপুরের মাঠে কাজ চলছে।
আশা করা যাচ্ছে আগামী বছরের মধ্যেই একটি ময়লামুক্ত পরিচ্ছন্ন পৌরসভা গড়া সম্ভব হবে। রাজবাড়ীর সিভিল সার্জন ডা. মো. ইব্রাহিম টিটন বলেন, রাজবাড়ী জেলার জন্য ৬০০ ডেঙ্গু শনাক্ত কীট পাওয়া গেছে। চারটি উপজেলায় ৪০০ ও রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ২০০ বণ্টন করা হয়েছে।