হালদা নদীর ডলফিন রক্ষার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ মঙ্গলবার (১২ মে ২০২০) দুপুরে এই আদেশ দেন হাইকোর্ট। আদেশ প্রদানের পাশাপাশি হালদা রোধে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে; তা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে।
চট্টগ্রামে হালদা নদী দেশের একমাত্র প্রকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র। এবছর এখান থেকে গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি ডিম সংগ্রহ করার আশা করছে ডিম সংগ্রহকারীদের সাথে সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু এখান থেকে ডলফিন হত্যা ঠিক বেমানান। এখনো যারা কুসংস্কারে ডুবে আছে তাই এই ডলফিন হত্যা করেছে বলে দাবি করা হচ্ছে।
গতকাল সামবার (১১ মে ২০২০) চট্টগ্রামের হালদা নদীতে ডলফিন হত্যা বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশনা চেয়ে শুনানির জন্য একটি রিট আবেদন ই-মেইলের মাধ্যমে জমা দেয়া হয়। আর বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ রিট আবেদন জমা দেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আব্দুল কাইয়ুম লিটন।
আইনজীবী আব্দুল কাইয়ুম লিটন জানান, এ বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে আবেদনটি জমা দিয়েছি।
আবেদনে হালদা নদীতে ডলফিন হত্যা বন্ধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না এবং ডলফিন হত্যা বন্ধে কেন প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হবে না এ মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়।
আবেদনে মৎস্য ও পশুসম্পদ সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক ও চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিবাদী করা হয়েছে।
আবেদনে এ বিষয়ে ১০ মে একটি ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের কিছু অংশ তুলে ধরেন। সেখানে বলা হয়েছে, লকডাউন আর শাটডাউন পৃথিবীর নানা অংশের বন্যপ্রাণী ও নদী-সমুদ্রের স্তন্যপায়ী প্রাণীদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে এলেও মানুষের নিষ্ঠুরতা থেকে মুক্তি পাচ্ছে না গাঙ্গেয় এ ডলফিন।
অবৈধ জালের শিকার হচ্ছে মা মাছও। শনিবারও হালদা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ইঞ্জিন বোটের আঘাতে রক্তাক্ত হয়েছে ১৩ কেজি ওজনের একটি মা মাছ। গাঙ্গেয় এ ডলফিন (গাঙ্গেটিকা প্লাটানিস্টা) দক্ষিণ এশিয়ার নদীগুলোতে একটি বিপন্ন প্রজাতি। প্রকৃতি সংরক্ষণের জোট ‘আইইউসিএন’ এ প্রজাতিকে মহাবিপন্ন হিসেবে লাল ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত করেছে ২০১২ সালে।