করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে বিনোদন কেন্দ্রগুলো বন্ধ। আর এ বন্ধে দিনাজপুর রামসাগর জাতীয় উদ্যানের মিনি চিড়িয়াখানায় ফুরফুরে মেজাজে ঘুরে বেড়াচ্ছে চিত্রা হরিণের পাল। কোলাহল নেই, নেই দর্শণাথীদের ঝামেলা। নিরিবিলি পরিবেশে হরিণের পাল তাদের ইচ্ছামত বেড়াচ্ছে। এই চিত্রা হরিণের সংসারে গত কয়েক মাসে এসেছে ৮টি নতুন অতিথি। এ নিয়ে এখন মিনি চিড়িয়াখানায় নতুন অতিথিসহ চিত্রা হরিণের সংখ্যা ৫৫টি।
চিত্রা হরিণগুলোর খাদ্যের জন্য সঠিক সময়ে খাদ্য বাজেট আসে না। এতে একটু সমস্যা হয় যা স্থানীয়ভাবে ব্যবস্থা করা হয়। পরে বাজেট এলে তা সমন্বয় করা হয়। চিত্রা হরিণগুলোকে ছোলা, নেপিয়ার ঘাস, গমের ভুসি, ভুট্টা ভাঙ্গা, লতাপাতা ইত্যাদি খাবার দেয়া হয়।
চিত্রা হরিণের প্রিয় খাবার শাপলা পাতা। বরাদ্দ কম এলেও রামসাগর দিঘিতে শাপলা চাষ করতে পারলে হরিণের খাদ্য চাহিদা কিছুটা মেটানো সম্ভব হবে। কিন্তু গত কয়েকবছর ধরে দিঘিতে মাছ শিকার, ইঞ্জিন নৌকা চালানোর কারণে শাপলা চাষ বন্ধ হয়ে যায়। দিঘিতে শাপলা চাষ করা গেলে খাবারের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব বলে জানান দিনাজপুর রামসাগর জাতীয় উদ্যানের ফরেস্টার ফসিউল আলম।
ফসিউল আলম জানান, রামসাগর জাতীয় উদ্যানের চিড়িয়াখানায় সরকারিভাবে ৬টি চিত্রা হরিণ আনা হয়। বাড়তে বাড়তে এখন ৫৫টিতে দাঁড়িয়েছে। করোনাভাইরাসের কারণে এসব চিত্রা হরিণসহ মিনি চিড়িয়াখানার বিভিন্ন জীবজন্তুর জন্য খাবার আগের থেকে জোগাড় করে রাখতে হচ্ছে। সূত্র: বিডি-প্রতিদিন