নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘বিদ্যুৎ কেন্দ্র, অর্থনৈতিক অঞ্চল বা অন্য কোনো উন্নয়নের কথা বলে নদী দখল করা যাবে না। আমরা নদীর অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করছি। ব্যবসায়িক স্থাপনাকে ঘিরে কেউ নদীর জায়গা দখল করতে চাইলে তা কখনোই গ্রহণযোগ্য হবে না।’
গতকাল শনিবার ঢাকা-বরিশাল নৌপথের চাঁদপুরেরর লক্ষ্মীরচর-আলুরবাজার-ঈশানবালা-হিজলা-উলানিয়া-মিয়ারচর নৌপথ পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে তুরাগ নদীর পশ্চিম পাড়ে বছিলা সেতু সংলগ্ন চরওয়াশপুর মৌজায় ক্ষমতাসীন দলের সাংসদ আসলামুল হকের পাওয়ার প্ল্যান্টের কিছু অংশে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছিল। নদী তীরে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাশে একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে ওঠার সংবাদ দুই সপ্তাহ আগে গণমাধ্যমে আসে।
নৌপথ পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকেরা এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, নদী দখল করে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়তে দেওয়া হবে না।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, অতিরিক্ত স্রোত ও পলি জমে যাওয়ার কারণে নদী ভরাট হয়ে বরিশালে রুটের মিয়ারচরেও নৌপথও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এখন ভোলার ইলিশা দিয়ে ঘুরে বরিশাল যেতে হচ্ছে। সেই অবস্থায় আলু বাজার থেকে হিজলা হয়ে নৌপথ হয় কি না, সেটা নিয়ে আমাদের মন্ত্রণালয়ের পক্ষে দুটি সভা করেছি। সভায় সিদ্ধান্ত নিয়েছি কীভাবে ড্রেজিং করলে নৌ চলাচল করতে পারবে। তাই সরেজমিনে পরিদর্শনে এসেছি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা ঢাকা-বরিশাল নৌপথের মিয়ারচর, কালীগঞ্জ ও আলু বাজার এই তিন চ্যানেলের কোনো নৌ রুটই বাদ দিচ্ছি না। মিয়ারচরে যে পথটা আছে তা আমরা ড্রেজিং করে চালু করব। পাশাপাশি আলুবাজার চ্যানেলটিও চালু রাখতে চাই।
আমরা ঢাকা-বরিশাল নৌপথে বহুমাত্রিক পথ (লিঙ্ক) রাখতে চাই। কারণ কোনো কারণে যদি প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়; তাহলে আমরা যেন বিকল্প পথ ব্যবহার করতে পারি। সেই জন্য সব পথ চালু করতে চাই।