শীতকালে দেখা মেলে বিভিন্ন ধরনের রোগের প্রকোপ। শীতকালে বাতাসে ভেসে বেড়ায় ধুলিকণা। আর শুষ্ক আবহাওয়া ও ধুলাবালির আক্রমণে দেখা দেয় বিভিন্ন রোগের প্রকোপ। প্রচন্ড ঠান্ডায় মানুষের শরীরের বিভিন্ন রোগের আক্রমণ লক্ষ্য করা যায় শীতকালে। তাই বিশেষ করে যাদের ক্রনিক অসুখ রয়েছে তাদের শীতকালে সাবধানে থাকাটা বেশ জরুরী।
আমাদের অনেকেই শীতকালে বাইরে ঘুরতে ও খেতে বেশ পছন্দ করেন। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, শীতে ঠাণ্ডা, শুষ্ক আবহাওয়া ও ধুলাবালির আক্রমণে অনেকে নাজেহাল হয়ে পড়েন। অন্যদিকে যাদের শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা, জয়েন্ট পেন, সাইনোসাইটিস, নার্ভের সমস্যা থাকে তা আরও বেড়ে যায়। অর্থাৎ যাদের ক্রনিক অসুখ রয়েছে তাদেরকে শীতকালে বিশেষভাবে সাবধানে থাকতে হবে।
শীতকালে বিভিন্ন রোগ থেকে কীভাবে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে-
১. বাতাসে ধুলাবালি বেশি থাকার কারণে শীতের সময় অ্যাজমার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি বিশেষভাবে লক্ষ্যনীয়। বাক্সবন্দি লেপ-কম্বল, বইয়ের সংস্পর্শে এলে হাঁচি শুরু হয়ে গিয়ে শ্বাসে সমস্যা হতে পারে।জেনে রাখা প্রয়োজন এটি এক ধরনের অ্যালার্জি। এই অ্যালার্জি থেকে রেহাই পেতে ইনহেলার নেওয়া উচিত। ইনহেলার নিলে কম পরিমাণ ড্রাগ সরাসরি ফুসফুসে প্রবেশ করে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ইনহেলার ব্যবহার করা উচিৎ।
২. এসময়ে মাথাচাড়া দিতে পা জয়েন্ট পেইন। রিউমাটয়েড ও অস্টিয়ো এই দু’রকমের আর্থ্রাইটিস রোগীরা শীতে বেশি কষ্ট পান। তাপমাত্রা কমার ফলেই ব্যথা-যন্ত্রণা বাড়ে। এই যন্ত্রণায় গরম সেঁক বা হট ওয়াটার ব্যাগ নেওয়া যাবে না। বিশ্বজুড়ে চিকিৎসকরা এই পদ্ধতি নাকচ করে দিয়েছেন। এতে সাময়িক আরাম হলেও আসলে সমস্যা বেড়ে যায়। জয়েন্ট পেইনের ক্ষেত্রে নয়, তবে ঘুম থেকে উঠে ঘাড়ে ব্যথা মনে হলে গরম সেঁক দিতে পারেন।
৩. জয়েন্ট পেইন হলে অনেকে মনে করেন ক্যালশিয়াম কমে গিয়েছে। অনেকেই তখন ক্যালশিয়াম কিনে খেতে শুরু করেন। অতিরিক্ত ক্যালশিয়াম বা ভিটামিন-ডি শরীরের জন্য খুবই খারাপ।বিশেষ করে হতে পারে হার্টের সমস্যা । অনেকদিন ধরে ব্যথা চললে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিৎ।
৪. শীতকালে অনেকে ভোগেন মাথার যন্ত্রণায় । মাথার কোন অংশে ব্যথা হচ্ছে, সেটা খেয়াল করতে হবে। দীর্ঘসময় ধরে যদি মাথার পিছন দিকে ব্যথা হয়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সাধারণ মাইগ্রেনে চায়ের বদলে কফি খেতে পারেন। ক্যাফেইন মাইগ্রেন কমাতে সাহায্য করে।
৫. ঠাণ্ডায় পায়ের পেশিতে হঠাৎ করে টান ধরে যায়। শীতেও ডিহাইড্রেশন হয়। কম পানি খাওয়ার জন্যই মূলত ক্র্যাম্প ধরে। এছাড়া শরীরে খনিজ পদার্থের ভারসাম্য বিঘ্নিত হলে টান ধরার সমস্যা হয়। তাই পরিমাণ মতো পানি পান করতে হবে ।