ধান আবাদের লোকসান পুষাতে যশোরে বোরো মৌসুমের মাঝামাঝি সময়ে সরিষা চাষ করেছেন কৃষকরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সাথে ফলন ভালো হওয়ায় ও অন্যান্য ফসলের চেয়ে দাম বেশি পাওয়ায় যশোরের বেশিরভাগ কৃষকরা ধানের পরিবর্তে সরিষা চাষ করছেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, যশোরে এবার ১৩ হাজার ২শ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। গত মৌসুমে জেলায় মাত্র ৮ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ হয়।
বাকড়া গ্রামের এক কৃষক চাষাবাদ সম্পর্কে বলেন, আমন চাষের পরপরই একই ক্ষেত সরিষা আবাদ করেছেন।আবহাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ থাকলেও সরিষা চাষে কোনো ক্ষতি হয়নি। যে কারণে সরিষার ফলন ভালো হয়েছে। আশা করছি এক বিঘা জমিতে এবার ৬-৭ মণ সরিষা আবাদ হবে।
সরিষা আবাদ ধান আবাদের চেয়ে দ্বিগুন লাভজনক। প্রতি মণ সরিষা ২ হাজার ৫০০ থেকে ৩ হাজার টাকা বিক্রি হয়। সরিষা আবাদে তেমন কোনো খরচ নেই বললেই চলে, সময়ও কম লাগে। তেমন সেচ দিতে হয় না এবং খরচ হয় ১,৮০০ থেকে ২,০০০ টাকা। এক বিঘা জমিতে ৭-৮ মণ সরিষা হয়।সরিষার পর একই জমিতে পাট চাষ করা হবে। ফলে এক বছরে সহজে তিন আবাদ করে বেশি লাভবান হওয়া যায়।
জেলা জানান, গত কয়েক মৌসুম থেকে কৃষকরা সরিষা আবাদের প্রতি আগ্রহী হচ্ছেন। যে কারণে এক বছরের ব্যবধানে প্রায় পাঁচ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ বেশি হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যশোরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা বিরেন্দ্র নাথ মজুমদার এ সম্পর্কে বলেন, “জমির উর্বরতা বৃদ্ধির জন্য সরিষা আবাদ খুবই উপযোগী। ফলে সরিষা আবাদ করে কৃষক একদিকে যেমন আর্থিকভাবে লাভজনক হচ্ছেন, তেমনি জমির উর্বরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এজন্য আমরা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকেও কৃষকদের বেশি বেশি করে সরিষা আবাদ করতে উৎসাহিত করছি।”