রাজধানীতে গত কয়েক মাস ধরেই বাতাসের মান অস্বাস্থ্যকর। রাজধানীর সড়কে বিভিন্ন নির্মাণযজ্ঞের কাজ চলায় বাতাসে ধূলিকণার পরিমান বেড়ে গেছে। আর এই ধূলিকণার কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্ক মানুষরা।বাড়ছে অ্যাজমা রোগী।তাছাড়া এখনশীতকাল অর্থাৎশুষ্ক মৌসুম।আর শুষ্ক মৌসুমে বায়ুতে ধূলিকণা বৃদ্ধি পায়। এ সময় ধূলিকণার উৎস রোধে নিতে হবে বিশেষ ব্যবস্থা।
একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার গবেষণা তথ্য থেকে জানা যায়, রাজধানীর বাতাসে ক্ষুদ্র কণিকার উপস্থিতি সহনীয় মাত্রার চেয়ে কয়েক গুণ বেশি।আর এতেই আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে অ্যাজমা, সিওপিডি (ক্রনিক অবস্ট্রাক্টিভ পালমুনারি ডিজিজ) এবং এআরআই (অ্যাকিউট রেসপারেটরি ইনফেকশন) এর মতোই নানান রোগ।
জানা যায়, কয়েক বছর ধরে মানুষ উচ্চহারে অ্যাজমায় আক্রান্ত হচ্ছে এবং এ রোগে মৃত্যুহারও বেড়েই চলেছে। সিওপিডিতেও আক্রান্ত হচ্ছে উচ্চহারে এবং এ রোগেও মারা যাচ্ছে অনেক মানুষ।
যুক্তরাষ্ট্রের দুটি প্রতিষ্ঠানের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বায়ুদূষণের কারণে পৃথিবীতে যে ১০টি দেশে মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি, এর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বায়ুদূষণের কারণে শ্বাসযন্ত্রের মারাত্মক সংক্রমণের পাশাপাশি হৃদযন্ত্রের রোগসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এর মধ্যে মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণজনিত সমস্যা ও লাং ক্যান্সারের বিষয়টি বিশেষভাবে উল্লেখ করা যায়।
আর তাই এই ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি ভাবে কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা না হলে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হতে পারে ।