পরিবেশ রক্ষায় কাজ করতে পঞ্চগড়ের মেয়রকে বাপা’র প্রস্তাবনা
আন্তর্জাতিক শুন্য বর্জ্য দিবস উপলক্ষে শনিবার দেশের শুণ্য বর্জ্যতা অর্জনের ক্ষেত্র প্রস্তুতের জন্য বর্জ্য ব্যবস্থাপনা একটি কার্যকর ও উপযোগী আইনি কাঠামো এবং এর যথাযথ প্রয়োগ ও বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পঞ্চগড় পৌর মেয়রকে একটি প্রস্তাবনা দাখিল করেছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের পঞ্চগড় আঞ্চলিক শাখা।
দুপুরে মেয়রের বাসভবনে গিয়ে লিখিত এই প্রস্তাবনা তুলে দেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন পঞ্চগড় আঞ্চলিক শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট একেএম আনোয়ারুল ইসলাম খায়ের ও সাধারণ সম্পাদক আজহারুল ইসলাম জুয়েল।
এ সময় কমিটির সদস্য জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক শহীদুল ইসলাম শহীদ ও সাংবাদিক এসএ মাহমুদ সেলিম উপস্থিত ছিলেন। পরে পরে এই প্রস্তাবের একটি কপি পঞ্চগড় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জামিল চৌধুরী ডলারের নিকট প্রদান করেন।
প্রস্তাবনায় বর্জ্য সংগ্রহ ও পরিবহনের নিয়মাবলী ও মানদণ্ড নির্ধারণ, রিসাইক্লিং কর্মসূচি ও রিসাইক্লিং পণ্যের বাজার উন্নয়ন, ম্যাটেরিয়াল রিকভারি ফ্যাসিলিটি প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনার গাইডলাইন প্রনয়ন,পরিবেশ-বান্ধব নয় এমন পণ্য ও প্যাকেজিং এর তালিকা প্রস্তুত, বর্জ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও পরিশোধন স্থাপনা স্থাপনের মানদণ্ড নির্ধারণ, স্যানিটারি ল্যান্ডফিল-এর মানদণ্ড নির্ধারণ, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, কম্পোষ্ট, ওয়েস্ট-টু-এনার্জি প্লান্ট, লিচেট পরিশোধন, ইনসিনারেশন ইত্যাদির জন্য গাইডলাইন প্রনয়ন, পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার একশন প্লান তৈরির গাইডলাইন প্রনয়ন করাসহ ২১ দফা প্রস্তাবনা পেশ করা হয়েছে।
প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, সারা দেশের ছোট-বড় অধিকাংশ পৌর শহরের মতো আমাদের পঞ্চগড় শহরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কম-বেশি একই পর্যায়ের। কিন্তু সেগুলোতে প্রকৃতপক্ষে বর্জ্যের যথাযথ ব্যবস্থাপনা হয় না। মূলত: শহরের প্রান্তে কোনো ফাঁকা জায়গায়, বিশেষত সড়কের পাশে কোনো জায়গায় শহরের সব বর্জ্য জড়ো করে রাখা হয়, খোলা আকাশের নিচে সেসব বর্জ্য পচে-গলে এক দুর্বিষহ অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি করে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বতর্মানে এই শহরের জন্য এক বিরাট সমস্যা।
যেহেতু পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, ২০০২ সালের ৮ এপ্রিল পলিথিনের ব্যাগ বা প্যাকেজিং নিষিদ্ধ করে এসআরও এবং কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা ২০২১ জারি করে। কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা ২০২১ এর বিধি ৯ অত্যন্ত সুস্পষ্ট ভাবে শূন্য বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় উপনীত হওয়ার নির্দেশনা প্রদান করেছে।
উপরোক্ত আইনদ্বয় বাস্তবায়ন করে এবং আন্তর্জাতিক শুন্য বর্জ্য দিবসের উদ্দেশ্য অর্জন করতে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা ২০২১ এর বিধি ৯ বাস্তবায়নে ও এসডিজি ২০৩০ লক্ষ্য মাত্রা অর্জনে বিশেষভাবে স্থানীয় সরকার সমূহকে সহযোগিতা করে যাচ্ছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন।
আমরা কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধি ২০২১ এর ধারা ১০(২২) মোতাবেক যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে পঞ্চগড় পৌরসভার শূন্য বর্জ্য ব্যবস্থাপনা মডেল বাস্তবায়ন করতে আগ্রহী হওয়ার আহবান জানাচ্ছি।
দেশের শুণ্য বর্জ্যতা অর্জনের ক্ষেত্র প্রস্তুতের জন্য বর্জ্য ব্যবস্থাপনার একটি কার্যকর ও উপযোগী আইনি কাঠামো ও এর সফল প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাসমূহের অর্থ্যাৎ এসডিজি গোল ৩,৮,১১, ১২,১৩, ১৬ অর্জনে সহায়ক হবে।