টাঙ্গাইলে যমুনা নদীর পানি ১০ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৭৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে ঝিনাই ও ধলেশ্বরী নদীর পানি আজও বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি আরো অবনতি ঘটেছে। নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এতে করে প্রায় ছয় লাখ মানুষ পানি বন্দী হয়ে পড়েছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস থেকে দেয়া তথ্যানুযায়ী, এখন পর্যন্ত জেলার ১১টি উপজেলার ৮৩টি ইউনিয়নের ৬৫২টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া ছয়টি পৌর এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে করে প্রায় সাড়েছয় লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানিবন্দী মানুষের জন্য ত্রাণ তৎপরাতা অব্যহত আছে। এখন পর্যন্ত ৭৫৫ মেট্রিক টন জিআর চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ১৩ লাখ জিআর টাকা দেয়া হয়েছে দুইলক্ষ টাকা শিশু খাদ্য বাবদ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও ছয় লাখ টাকা গবাদি পশুর খাদ্যের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ইতমধ্যে আট হাজার প্যাকেট শুকনো খাবর বিতরন করা হয়েছে। এর বাইরে বন্যাত্রদের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরন করা হচ্ছে।
এছাড়াও জেলার প্রায় সাড়েদশ হাজার হেক্টর ফসলি জমি বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, গত চব্বিশ ঘন্টায় যমুনা নদীর পানি ১০ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৭৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।