৩ টন পরিমান বর্জ্য মহাকাশে নিক্ষেপ করল NASA এটি কি কোন বিপদের আশংঙ্কা হতে পারে ?
ডিজিটাল ডেস্ক: ‘মহাকাশ-বর্জ্য’ (Space debris) ভবিষ্যতের পৃথিবীর জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে বলে বহুদিন ধরেই আশঙ্কা করছেন বিখ্যাত সব বিজ্ঞানীরা।
এই পরিস্থিতিতেই এবার জানা গেল, মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা NASA অতি সম্প্রতি মহাকাশে ৩ টন পরিমাণ বর্জ্য নিক্ষেপ করেছে। যার প্রকৃত ওজন ২.৯ টন তবে আনুসাঙ্গিক কিছু সারঞ্জম মিলিয়ে ৩ টনের মত! ধারোণা করা হচ্ছে, এত পরিমাণে বর্জ্য এই প্রথম নিক্ষিপ্ত হল মহাকাশে।
আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন থেকে গত সপ্তাহেই ওই বর্জ্য নিক্ষিপ্ত হয়েছে। বাতিল ব্যাটারি এর মধ্যে অন্যতম।
প্রশ্ন উঠেছে, ভবিষ্যতে কী হবে এই বিপুল পরিমান বর্জ্যের? এর থেকে কি সরাসরি মানব সভ্যতার কোনও বিপদ হতে পারে? বিজ্ঞানীরা অবশ্য সেব্যাপারে আশ্বস্ত করছেন।
তাঁরা জানিয়েছেন, আগামী ২৪ বছর বা তার কিছু বেশী সময় ধরে পৃথিবীর কক্ষপথে চক্কর কাটবে ওই বর্জ্যগুলি। পরে তা আবার প্রবেশ করবে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে।
তবে তার মানে এই নয় যে, রাতারাতি সেটা আছড়ে পড়তে পারে পৃথিবীর মাটিতে, আসলে বায়ুমণ্ডলে ঢুকে পড়ার পরই তা জ্বলে উঠে ছাই হয়ে যাবে যার ফলে সেই ধরনের কোনও বিপদের কোনও রকম আশঙ্কা নেই তবে পুড়ে যাওয়ার ফলে যে গ্যাস নির্গত হবে তা কতটুকু ক্ষতি করবে আমাদের বায়ুমন্ডল সেটাই দেখার বিষয়।
পাশাপাশি মহাকাশ-বর্জ্য থেকে অন্য ধরনের বিপদের আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিজ্ঞানীরা। প্রতিনিয়ত পৃথিবীকে পাক খেতে থাকা কৃত্রিম উপগ্রহগুলির সঙ্গে এই ধরনের বর্জ্যের কোনও টুকরোর সংঘর্ষের আশঙ্কাও রয়েছে অনের বেশী।
জানা যাচ্ছে, সব মিলিয়ে পৃথিবীর চারপাশে এই মুহূর্তে চক্কর কাটছে ১৬ কোটি মহাকাশ-বর্জ্যের টুকরো এবং সেগুলির গতি ঘণ্টায় ১৮ হাজার মাইল।
তবে এগুলির অধিকাংশই খুব ছোট আকারের ও তাদের থেকে বিপদের তেমন কোন সম্ভাবনা নেই। কিন্তু এদের মধ্যে অন্তত ১০ লক্ষ টুকরোর দৈর্ঘ্য ১ সেন্টিমিটারের বেশি। ভয় মূলত সেগুলিকে নিয়েই।
বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, কোনও একটি উপগ্রহের সঙ্গেও যদি এদের কারও ধাক্কাই লাগে তবে তাহলেই মহা অনর্থ ঘটে যেতে পারে। বিঘ্নিত হতে পারে সারা পৃথিবীর উপগ্রহ পরিষেবার প্রযুক্তি।
প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে পৃথিবীর চারপাশে প্রদক্ষিণ করছে ২ হাজার ৮শো টি উপগ্রহ। তার সঙ্গেই চক্কর কাটছে ৩ হাজারের মত বাতিল উপগ্রহ।
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন