২০৫০ সাল নাগাদ হুমকির মুখে প্রায় ৫০০ কোটি মানুষ
ডব্লিউএমওর পক্ষ থেকে বলা হয়, গত ২০ বছরে ভৃ-পৃষ্ঠের পানির স্তর প্রতিবছর এক সেন্টিমিটার হারে নেমে গেছে। অ্যান্টার্কটিকা ও গ্রিনল্যান্ড সবচেয়ে বেশি এ ঘটনার মধ্য দিয়ে যায়। ঘনবসতিপূর্ণ বিভিন্ন অঞ্চলেও উল্লেখযোগ্যভাবে পানির স্তর ধীরে ধীরে নিচে নামছে।
বিশ্বের পাঁচ বিলিয়নের (৫০০ কোটি) বেশি মানুষ ২০৫০ সালের মধ্যে পানিসংকটে ভুগতে পারে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও) সম্প্রতি নতুন এক প্রতিবেদনে জানায়, ২০১৮ সালে কমপক্ষে এক মাস অপর্যাপ্ত পানি পায় ৩.৬ বিলিয়ন মানুষ।
ডব্লিউএমওর প্রধান পেত্তেরি তালাস বলেন, ‘আসন্ন পানিসংকট মোকাবিলায় আমাদের এখনই ব্যবস্থা নেয়া উচিত।’ডব্লিউএমওর প্রধান তালাস বলেন, ‘ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা বৃদ্ধি বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক বৃষ্টিপাতের পরিবর্তনে ভূমিকা রাখছে, যা খাদ্যনিরাপত্তা ও মানবদেহের সুস্থতায় প্রভাব ফেলছে।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২০ বছরে পানিসংক্রান্ত জটিলতার মাত্রা অনেক বেড়েছে। ২০০০ সাল থেকে বন্যাসংশ্লিষ্ট দুর্যোগ আগের দুই দশকের তুলনায় ১৩৪ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।
ডব্লিউএমও প্রধান তালাস সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘বিদ্যমান বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে আর্দ্রতা ৭ শতাংশ বেড়েছে। এ কারণে আগের চেয়ে বেশি বন্যা দেখছি আমরা।’
ডব্লিউএমও জানিয়েছে, বন্যাসংশ্লিষ্ট মৃত্যু ও অর্থনৈতিক ক্ষতির সবচেয়ে বেশি শিকার এশিয়া। ওই অঞ্চলে বন্যা ঠেকাতে বাঁধের ব্যবস্থা শক্তিশালী করা উচিত। ২০০০ সাল থেকে খরার ঘটনা ও সময়কাল প্রায় ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিবছর সবচেয়ে বেশি খরা হয় আফ্রিকা মহাদেশে।
তালাস বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনকে বড় ধরনের ঝুঁকি হিসেবে দেখছে বিশ্বনেতারা। তবে তাদের কথা ও কাজে মিল পাওয়া যাচ্ছে না। মানুষের অস্তিত্বের জন্য হুমকিমূলক এসব পরিবর্তন ঠেকাতে আমরা কয়েক দশক অপেক্ষা করতে পারি না।’
তিনি বলেন, ‘চীনের মতো শক্তিশালী দেশগুলো বলছে, ২০৬০ সালের ভেতর তারা বায়ুমণ্ডলে আর কার্বন নিঃসরণ করবে না। তবে এ লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে ওই দেশগুলোর গঠনমূলক পরিকল্পনা চোখে পড়ছে না।’