হলুদ ফুলের সমারোহ চলনবিল
ঋতুচক্রে এখন শীতকাল, তাই চলনবিলজুড়ে হলুদ সরিষা ফুলের সমারোহ। ইতোমধ্যে দিগন্তজুড়ে হলুদ ফুলে স্বপ্ন বুনতে শুরু করেছে কৃষক। সিংড়া-গুরুদাসপুর-তাড়াশ ও চাটমোহরসহ বিভিন্ন এলাকার বিলে সরিষার হলুদ ফুলে ছেয়ে গেছে।
এ বছর চার উপজেলার মাঠে সরিষার হলুদ ফুলে ছেয়ে গেছে। তবে এ বছরে সরিষা আবাদ শুরুর দিকে পোকার আক্রমণ থাকায় কৃষকরা দুশ্চিন্তায় পড়েছিল। কিন্তু পোকার আক্রমণ কাটিয়ে স্বপ্ন দেখছে সরিয়ায় ভালো ফলনের।
এখন দিগন্ত জুড়ে হলুদ সরিষা ফুলে স্বপ্ন বুনছে কৃষক। এ বছর তুলনামূলক সরিষার আবাদ অনেক ভালো হয়েছে। তাছাড়া সময়মত সার-কীটনাশক ব্যবহারের কারনে সরিষার আবাদ করতে কৃষকের কোনো প্রকার বেগ পেতে হয়নি।
জেলা কৃষি কর্মকর্তান জানান, জেলায় কয়েক দফা বন্যার পানি আসলেও দ্রুত মাঠ থেকে পানি নেমে যায়। এজন্য মাঠে জলাবদ্ধতা না থাকার কারণেই অনেকেই সুবিধাজনক সময়ে সরিষার বীজ বুনতে পেরেছে। তাই এ বছর সরিষার আবাদ গত বছরের তুলনায় বেশি হয়েছে।
সিংড়া-গুরুদাসপুর-তাড়াশ ও চাটমোহর উপজেলার কৃষি বিভাগের তথ্য মতে এ বছর চলনবিলে ১ লাখ ২০ হাজার হেক্টর সরিষা চাষ হয়েছে।
যার বাজার মূল্য প্রায় ১শ কোটি টাকা। কৃষি অফিস থেকে জেলার প্রায় ৪২ হাজার কৃষককে ১ কেজি করে সরিষা বীজ ও ২০ কেজি সার দেয়া হয়েছে। এসময় কৃষককে সরিষা চাষে বিভিন্ন বিষয়ে সচেতন করা হয়েছে। সরিষা চাষের পদ্ধতি ও পোকার আক্রমণ হলে কি করনীয়? সে বিষয়ে কৃষকদের সচেতন করা হয়।
চাটমোহর উপজেলার কৃষক জামাল উদ্দিন মোল্লা বলেন, এ বছর আমি ৮ বিঘা সরিষার আবাদ করেছি। প্রথমদিকে সরিষায় কাটুই পোকা আক্রমণে ৩ বিঘা জমি ভেঙ্গে অন্য ফসল বুনেছি।
ঘুর্ণিঝড় জাওয়াদের কারণে সরিষার চারায় তেমন কোন ক্ষতি হয়নি। এখন সরিষার ক্ষেত দেখতে বেশ সুন্দর লাগছে। আশা করছি, ফলন ভালো হবে।
সরিষা ক্ষেত ঘুরতে আসা নাহিদ হাসান নামে একজন বলেন, সরিষা ক্ষেতে ঘুরতে এসেছি খুবই ভালো লাগছে, চোখ যতদূর যায় ততদূর শুধু হলুদ আর হলুদ। গত বছরের ঘুরতে এসেছিলাম। গত বারের থেকে এবার একটু বেশি ভালো লাগছে।
এ ব্যাপারে জেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর বেশি সরিষার চাষ হয়েছে। প্রাকৃতিক দূর্যোগে কোন প্রকার ক্ষতি না হলে সরিষা আবাদের বাম্পার ফলনের সম্ভবনা রয়েছে।
শুধু তাই নয় সরিষা চাষের জমিগুলো উর্বরতা বেশি থাকায় কৃষকরা এবার বোরো চাষে ভালো সুফল পাবে।