হঠাৎ রাশিয়ায় লালচে ধোঁয়ায় ঢাকল আকাশ
আকাশে লালচে ধোঁয়া, চারপাশে উষ্ণ আবহাওয়া। রাশিয়ার কামচাতকা উপদ্বীপের এহেন দৃশ্য দেখে প্রাথমিকভাবে মনে হতে পারে, ইউক্রেন যুদ্ধের আবহ ফিরে এসেছে। কিন্তু অচিরেই সেই ভুল ভাঙবে মাটির দিকে তাকালে।
আগ্নেয়গিরির লাভামুখ থেকে গলগলিয়ে বেরচ্ছে আগুন, ছাইয়ের স্রোত। মস্কোর পূর্বদিকে কামচাতকায় জেগে উঠেছে জোড়া আগ্নেয়গিরি। সেখান থেকে হুড়মুড়িয়ে বেরিয়ে আসছে লাভাস্রোত। বড়সড় বিপর্যয়ের আশঙ্কায় সতর্কবার্তা জারি করেছেন বিজ্ঞানীরা।
কামচাতকা উপদ্বীপে রবিবার থেকেই আবহাওয়া বদলে যাচ্ছিল। মস্কোর পূর্বে প্রশান্ত মহাসাগরের তীর ঘেঁষে প্রায় ৬৬০০ কিলোমিটার বিস্তৃত এই দ্বীপ এলাকায় আগ্নেয়মেখলার মধ্যে পড়ে।
অর্থাৎ মহাসাগরের তলদেশে আগ্নেয়গিরির বৃত্ত রয়েছে, যা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে সক্রিয় বলে ধরে নেওয়া হয়। অন্তত ৩০ টি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি রয়েছে এখানে।
তাই এসব এলাকায় মাঝেমধ্যেই অগ্ন্যুৎপাত ঘটে থাকে। তবে এবার জোড়া আগ্নেয়গিরি থেকে অবিরাম লাভা নির্গমনে বড় বিপদের ইঙ্গিত দেখছেন বিজ্ঞানীরা।
রাশিয়ান অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সের আগ্নেয়গিরি বিশারদরা জানাচ্ছেন, ক্লায়ুচেভসকায়া সোপকা নামে আগ্নেয়গিরিটি ইউরোপ ও এশিয়ার সবচেয়ে উঁচু, প্রায় ১৬ হাজার ফুট।
বলা হচ্ছে, একঘণ্টায় ১০ বার বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছে। সেটাই এখনও পর্যন্ত রেকর্ড। মঙ্গলবার থেকে মুহূর্মুহু কেঁপে উঠেছে ক্লায়ুচেভসকায়া সোপকা। আরেকটি আগ্নেয়গিরি শাইভেলুশ থেকে নাগাড়ে ছাই আর লাভা বেরিয়ে আসছে।
কামচাতকার অবস্থান ঠিক এই দুই আগ্নেয়গিরির মাঝে। গড়ে ৩০ থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত এই বদ্বীপ। ক্লাইউচি এখানকার সবচেয়ে বড় শহর, হাজার পাঁচেক মানুষের বাস।
জোড়া আগ্নেয়গিরির রোষ দেখে তাঁরা ভয়ে কাঁপছেন। মনে করা হচ্ছে, এই অগ্ন্যুৎপাত সহজে থামবে না। আকাশে ধুম্রজটায় অন্তত সেই অশনি সংকেত দেখছেন বিজ্ঞানী।