বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। এদেশের বুকচিরে বয়ে গেছে অসংখ্য নদ-নদী। অন্যদিকে বাঙালীদের মাছে-ভাতে বাঙালী বলা হয়ে থাকে। কত দিন আর মাছে-ভাতে বাঙালী বলা হবে এটা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে সচেতন নাগরিকের মধ্যে। দখল দূষণে ভরে উঠেছে দেশ। ভূমি দস্যু আর খাল দস্যু একই কথা।
মৃতদেহের মতো পড়ে আছে নদীগুলো। প্রাকৃতিক সৌন্দের্যের ্এই বাংলাদেশে শুধু মাত্র নদীর উপরে নির্ভর করে জীবিকা নির্ভাহ হয় হাজার হাজার মানুষের। কিন্তু হত্যাচারের যেন শেষ নেই। কেউ ফেলছে ময়লা, কেউ নদীর বুকে ক্ষত করে তুলে নিচ্ছে বালি। এমনই একটি নদী সুরমা।
সুরমার বুক দিয়ে এক সময় কত কিছুইনা চলবো। কিন্তু এখনো চলছে এখন চলছে ক্রিকেট আর ফুটবল টূর্নামেন্ট। আমাদের উপকারে আসে এমন সম্পদ আমরা নিজেরাই ধ্বংস করে দিলাম।
সুরমার বুকে অবাদে ফেলা হচ্ছে ময়লা আবর্জনা ফলে দূষিত হচ্ছে পাচ্ছি। সুরমা ভরাট হওয়ায় শুষ্ক মৌসুমি মাত্র ১ মিটার পানি থাকে আর বর্ষার মৌসুমে ১১-১২ মিটার।
পরিবেশবিদ দের দাবি অপরিকল্পিতভাবে নদী শাসন, পরিকল্পনাহীনভাবে সেতু নির্মাণ একই সাথে খনন না করার ফলে এমন অবস্থা হচ্ছে । নদীর নব্যতা না থাকায় প্রতিবছর দেখা দিচ্ছে বন্যা একই সাথে নদী ভাঙনও।
সর্বশেষ নদী বাঁচানোর জন্য খনন হবে সুরমা। এবছর একনেকে ১২০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প পাষ হয়েছে কিন্তু কাজ শুরু হবে আগামী বছর।
নদীর এই সকল সমস্যার কারলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পরিবেশ ও প্রতিবেশ। নদী বাঁচানোর জন্য সরকারের পাশাপাশি সচেতন নাগরিকদের এগিয়ে আসতে হবে। আমাদের পরিবেশ সুন্দর থাকলে আমরাও সুন্দর হবো।
এই ধরনের আরো খবর দেখতে এখানে ক্লিক করুন