প্লাস্টিক ও পলিথিন বর্জ্য পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার জন্য বিভিন্ন সময় দেখা গিয়েছে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। প্লাস্টিকের কারণে পরিবেশ দূষণের মাত্র দিন দিন বেড়েই চলেছে। সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা করা হয়েছে প্লাস্টিক বর্জ্য পরিষ্কার করার জন্য।
প্লাস্টিক বর্জ্য গুলোর কারণে বেশি পরিবেশ দূষিত হতে দেখা যাচ্ছে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে। পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে আসা মানুষগুলোই এই প্লাস্টিকি-পলিথিনগুলো ফেলে যাচ্ছে।
এবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের তৃতীয় বর্ষের ২০৮ জন শিক্ষক-শিক্ষার্থী মিলে ৮৩৫ কেজি প্লাস্টিক বর্জ্য পরিষ্কার করেছেন সেন্টমার্টিন সৈকত থেকে। এসব বর্জ্যগুলো ১০১ ব্যাগ ভর্তি করে একস্থানে রাখা হয়।
সেন্টমার্টিন দ্বীপ প্রকৃত পক্ষে পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্র বিন্দু। বাংলাদেশে যতোগুলো পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম এই সেন্টমার্টিন দ্বীপ। প্রতিবছর এখানে অসংখ্য মানুষ ভীড় করে। ফলে এখানে পলিথিন জমা হয় অনেক পরিমাণ। এখানে আসা মানুষগুলোর সচেতনার অভাবে জমা হচ্ছে পলিথিনসহ বিভিন্ন ধরনের অপচনশীল বর্জ্য আর তা থেকে দূষিত হচ্ছে নীল জলরাশির এই দ্বীপের পরিবেশ।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ৬০তম বিবিএস ব্যাচের তৃতীয় বর্ষের ২০৩ এই শিক্ষার্থীরা মাঠপর্যায়ে প্রশিক্ষণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে শিক্ষা সফরে গত ২৫ তারিখ যায় সেন্টমার্টিন দ্বীপে। তার পরে বুধবার তাদের সাথে যোগ দেন মেডিকেল কলেজের ৫ শিক্ষকও।
শিক্ষার্থীরা সরেজমিনে নেমে সংগ্রহ করতে থাকে প্লাস্টিক বর্জ্যগুলো। এদিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ফরিদ উদ্দীন আহমেদ বলেন, ভবিষ্যতে দেশের বিভিন্ন স্থানের সৈকতগুলোতে সামনে অভিযান চালানো হবে।
এই বিভাগের আরো খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন
কলেজের অন্যান্য শিক্ষকদের আশা এই অভিযান দেখে এখানে আসা পর্যটকগণ পালথিন ও প্লাস্টিকসহ অন্যান্য অপচনশীল বর্জ্যগুলেঅ সাথে করে নিয়ে যাবে।
শিক্ষক উম্মে তাসলিমা জাহান ও রাহনুমা রুবাইয়াত বলেন, এখানে আসা শিক্ষার্থীরা অনেককিছু শিখতে পেরেছেন। জীবনকে কিভাবে সুন্দর করতে হবে।